সম্প্রতি বিমান ভাড়াকেও হার মানিয়েছে রেলের ভাড়া। একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ফ্লেক্সি ভাড়া গিয়ে ঠেকেছে ১১ হাজারে। এই ভাবে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এই পদ্ধতির সমালোচনা করে লিখেছেন, ভাড়া বাড়তে অথচ যাত্রী নিরাপত্তা বাড়ছে না।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘দুঃখের বিষয় যে রেলের যাত্রীদের ভাড়া অত্যধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এমনকি সুবিধা ট্রেনের ভাড়া কখনও কখনও বিমানের ভাড়ার চেয়ে বেশি হয়!!জরুরী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?’
তিনি দাবি করেছেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি রোধ করতে হবে! নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক কার্যাবলীতে মনোযোগ দিতে হবে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস এবং অন্যান্য দুর্ঘটনা রোধী ব্যবস্থা চালু করেছিলাম! ক্রমবর্ধমান ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে কেন এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না, অথচ জনবিরোধী ভাড়ার শাসন নিয়ন্ত্রণহীন চলছে!’
সাম্প্রতিক কালে কিছু ট্রেনে ডায়নামিক ভাড়া চালু হয়েছে। এই পদ্ধতি কতকটা বিমান ভাড়ার মতো। অর্থাৎ চাহিদার উপর ভিত্তি করে দাম বাড়বে বা কমবে ট্রেনের টিকিটের। তার জেরেই জয়পুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি ২ টায়ারে ভাড়া হয়েছিল ১১,২৩০ টাকা। যা নিয়েই চলছে বিতর্ক। তাই নয়, মুম্বই থেকে পটনাগামী ট্রেনে ডাইনামিক ভাড়া বেড়ে হয়েছিল ৯,৩৯৫ টাকা।
(পড়তে পারেন। বিমানকে হার মানাল রেল! ট্রেনের ‘ফ্লেক্সি ভাড়া’ গিয়ে ঠেকল ১১ হাজারে)
চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বেস ভাড়ার উপর ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির অনুমতি দেয় রেল। তাছাড়া অন্যান্য চার্জ বৃদ্ধিও হয়ে থাকে ডাইনামিক ভাড়া ব্যবস্থায়। তবে সাম্প্রতিককালে উৎসবের মরশুমে সেই ঊর্ধ্বসীমায় ভাড়া পৌঁছতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই ভাবে ভাড়া বৃদ্ধির সমালোচনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবিধা ট্রেনের ফ্লেক্সি ভাড়া বন্ধ করে দিতে পারে তারা। কারণ এক এক সময় ভাড়া এমন জায়গায় পৌঁছছে যে তা বিমান ভাড়ার চেয়েও বেশি হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে যাত্রী হারাবে রেল।