নীল ঝড়ে আক্রান্ত গোটা দেশ। গুজরাটের আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছে নীল সমুদ্রে। কানায় কানায় ভর্তি স্টেডিয়াম। শুধু স্টেডিয়াম নয় ভারতের প্রতিটি গলিতে দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে প্রত্যেক ক্রিকেট প্রেমীরা। প্রত্যেকের কন্ঠে ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া চিৎকার। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চাপে ক্যাঙ্গারু বাহিনী। তিন উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া। জিততে গেলে তাদের করতে হবে ২৪১ রান।
রবিবাসরীয় ম্যাচে দর্শকদের উন্মাদনা যে চরমে পৌঁছাবে তা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। ম্যাচের একদিন আগে থেকেই মোতেরা স্টেডিয়ামে ভিড় জমাতে থাকেন দর্শক সমর্থকরা। যারা ম্যাচের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি নিজেদের মতো করে বাড়িতে অথবা জায়ান্ট স্ক্রিনে চোখ রেখেছেন। ঠিক এই অবস্থারই একটি ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সামনে বড় পর্দায় ম্যাচ চলছে। গাছের ডালে বসে একদল ভারতীয় সমর্থক। ভারতের অন্যান্য জায়গার মতো এখানকার সমর্থকরাও টগবগ করে ফুটছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়োতে যে গ্রামটি দেখা যাচ্ছে তা ভারতীয় তারকা জোরে বোলার মহম্মদ শামির। বিশ্বকাপ বড় স্ক্রিনে দেখার জন্যই দেশের প্রতিটি কোনায় অনেকেই জায়ান্ট স্কিনের ব্যবস্থা করেছে। সেই জায়গায় তাদের গ্রামের ছেলে একের পর এক ম্যাচ জেতাচ্ছে জাতীয় দল কে। তারা একত্রে খেলা দেখবে না তা কি কখনো হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কিছু কচিকাঁচারা জায়গা না পেয়ে গাছের ডালে বসেই ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচ দেখছে।
মহম্মদ শামি তাঁর প্রথম শ্রেণীর খেলা বাংলা দলের হয়ে খেললেও আদিবাড়ি উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের সহসপুরের ছেলে শামি। এখানেই কাটিয়েছেন ছেলেবেলা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাত উইকেট নিয়ে একার হাতে ভারতীয় দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছেন এই জোরে বোলার। বিশ্বকাপের শুরুতে বেশ কয়েকটা ম্যাচ বসে থাকলেও টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের প্রথম উইকেট এসেছে তাঁর বল থেকেই। বিশ্বকাপে ২৩টি উইকেট নিয়ে ফেলেছেন বাংলার এই জোরে বোলার। এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। এখন এটাই দেখার ফাইনালে তিনি কটি উইকেট তুলে নিতে পারেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড বিস্তারিত ক্রীড়াসূচি – এর জন্য চোখুন HT Bangla – তে