এবারের বিশ্বকাপে অঘটন ঘটিয়েছে আফগানিস্তান দল। তারা হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে। ৯ ম্যাচের মধ্যে চার ম্যাচে জিতেছে আফগানরা। স্বাভাবিক ভাবেই এবারে তাদের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। অনেকেই রশিদদের এই পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসা করেছেন। কারণ আফগাস্তানে অপেক্ষাকৃত কঠিন দলের বিরুদ্ধে জিতেছে। ইংল্যান্ড ২০১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। তাদের বিরুদ্ধে জেতা একেবারেই সহজ কাজ নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হয়, ইংল্যান্ড এই বিশ্বকাপে যতই খারাপ পারফরম্যান্স করুক না কেন, তাদের থেকে অনেকটাই সহজ প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। কিন্তু ২০১৯ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেন রশিদ খানরা।
শুধু ইংল্যান্ড নয়, পাকিস্তান যারা এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট দল হয়ে খেলতে নেমেছিল, তাদেরকেও হারিয়ে দেয় আফগানরা। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মনে করছেন আফগানদের বিরুদ্ধে যদি পাকিস্তান জিততে পারত তাহলে সেমিফাইনাল নিয়ে চিন্তা থাকত না। কিন্তু আফগানরা রুখে দেন বাবর আজমদের। সমালোচনায় মুখে পড়ে যায় পাকিস্তান দল। সবদিক থেকে দেখতে গেলে আফগানিস্তান লড়াকু বিশ্বকাপ খেলেছে।
এছাড়াও তারা হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডসকে। এর আগে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ডাচ দলকেই হারায় আফগানিস্তান। এবারেও সেই একই ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে নবীন উল হকরা। নেদারল্যান্ডস হোক বা শ্রীলঙ্কা এবারের বিশ্বকাপে এই দলই সেইভাবে ভালো পারফরম্য়ান্স করতে পারেনি। স্বাভাবিক ভাবেই আফগানরা নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছে এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে আরও উন্নতি করবে আফগানিস্তান দল।
এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান গোটা বিশ্বকে চমকেই দিয়েছে। তাদের পারফরম্যান্সে যে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, তা ধরা পড়েছে। এমনকী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছেও গিয়েছিল আফগানরা। মাত্র ৯১ রানের মধ্যে অজিদের সাত উইকেট ফেলে দেন রশিদরা। কিন্তু গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত দ্বিশতরান সেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নেয় অজিরা। কিন্তু যদি সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিতে পারত আফগানরা, তাহলে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতেই পারতে রশিদ খানরা। কিন্তু একটা সময় পর্যন্তও সেই ম্য়াচে জয়ের গন্ধে মরশুগ ছিল তারা।
টুর্নামেন্টের প্রথম থেকে যদি আফগানিস্তানের পারফরম্য়ান্সের দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে, শুরুটা তারা ভালো করেনি। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরুদ্ধে হারার পরই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। ২০১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় হশমতউল্লাহ শাহিদি ব্রিগেড। তবে আফগানদের এই পারফরম্যান্সের অনেকেই প্রশংসা করেছে। তারা মনে করছে আগামী দিনে শক্তিশালী দল হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে এই আফগানিস্তান দল। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সেখানে কেমন পারফরম্যান্স করে তারা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড বিস্তারিত ক্রীড়াসূচি – এর জন্য চোখুন HT Bangla – তে