Fire Incident: বিশাখাপত্তনমের জেটিতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে খাক অন্তত ১৫টি নৌকা

Advertisement

অন্ধ্রপ্রদেশ:  অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের ( Visakhapatnam  ) জেটিতে ভয়াবহ আগুন (Massive Fire)। পুড়ে খাক অন্তত ১৫টি নৌকা। প্রথমে একটি বোটে আগুন লাগে, দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে অন্তত ৪০টি বোটে। দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কী করে আগুন লাগল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

 প্রসঙ্গত, অক্টোবার মাসেই মুম্বইয়ের বহুতলে ঘটেছিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। গোরেগাঁওয়ে ওই বহুতলে আগুন লেগে একাধিক জনের মৃত্যু ঘটেছিল।গভীররাতে এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন সেসময় সবাই। মাঝরাতে দোতালা থেকে ক্রমশ আগুন উঠতে শুরু করে বহুতলের উপরের দিকে। ঘুমে আচ্ছন্ন বলে প্রথমে অনেকেই আগুন লাগার বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে ক্ষণিকেই তা ঠাহর হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিৎকার জুড়ে দেন বাসিন্দারা। আগুন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিকে, অনেকেই বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ আকার নিয়ে নিয়েছিল। আটকে পড়েছিলেন তারই ভিতর বাসিন্দারা।

 মূলত কারখানা, গোডাউন, শোরুমে আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার  বাস্ট করে আগুন। অমৃতসরের ওষুধের কারখানাতেও বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।ওই ঘটনায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এই কারখানায় প্রায় ১৬০০ শ্রমিক কাজ করে। কারখানায় রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম মজুত থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। ৮ ঘণ্টার লাগাতার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।

চলতি বছরের অগাস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গের বউবাজার এলাকার বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল।  কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটsছিল। প্রথমে সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। ওই বেসমেন্টে ঢোকার ও বেরনোর পথ একটিই। সেটি বন্ধ ছিল। পিছনের একটি গেট কেটে আপাতত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন, আজ পেট্রোলের দর কমল একাধিক শহরে, কী দর কলকাতায় ?

এর আগে মে মাসে রাজভবনের কাছে অবস্থিত শরাফ হাউসেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজে পরিস্থিতি তদারকি করেন। আনা হয়েছিল হাউড্রলিক ল্যাডারও। মূলত শরাফ হাউসে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দফতর রয়েছে। উপরে ছিল রান্নাঘর। সেখানেই আগুন লাগে বলে জানা যায়। স্থানীয়দের দাবি, মিনিট পনেরোর মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে ছাদের বেশ কিছু অংশ খসে পড়তে শুরু করে। পর পর চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল আগুন লাগে বলে জানা যায়। 

 

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।