বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ নেতাজি ইন্ডোরে তলব পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের

Advertisement

বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। তাও আবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের ডাকা হচ্ছে। জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদাধিকারীকে এই সভায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিশেষ সভা হতে চলেছে। এখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামার কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তাই প্রশ্ন উঠছে, এবার কি সরাসরি আন্দোলনে নামবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী?‌

বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে?‌ একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া, আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। নয়াদিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করে এসেছিলেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কলকাতা ফিরে বলেছিলেন, সদুত্তর না পেলে আন্দোলনে নামবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যেই এই বকেয়া নিয়ে একটা চিঠি নবান্নকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে সূত্রের খবর। যা নিয়ে খুশি নয় নবান্ন। এই আবহে নতুন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা স্তরের নেতৃত্বের বড় রদবদল হয়েছে। তাই নেতাজি ইন্ডোরের সভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

তারপর ঠিক কী ঘটবে?‌ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভায় যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আন্দোলন করার ডাক দেন তাহলে কেঁপে উঠবে নয়াদিল্লি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ একের পর এক নেতা–মন্ত্রীকে জেলে পোরা হয়েছে নানা অভিযোগে। যা আদালতে আজও প্রমাণ হয়নি। তার উপর রাজ্যের মানুষের উপর বঞ্চনা—এই দুই মিলিয়ে যদি রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার চেহারা বড় হবে। তাতে চাপ বাড়তে পারে মোদী সরকারের বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ২৩ তারিখের সভা কোন দিকে বাঁক নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

আরও পড়ুন:‌ আবার আক্রান্ত পুলিশ, গাড়ি লক্ষ্য করে চলল বোমাবাজি, উত্তপ্ত হয়ে উঠল রেজিনগর

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শীতের মরশুমে এটা হবে বড় আন্দোলন। এমনকী দলের সব নেতাদের নিয়ে এই সভা হচ্ছে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দিষ্ট বার্তাও দিতে পারেন। যা জেলায় গিয়ে কাজে লাগানো হবে। তাতেই কাত করা হবে মোদী সরকারের প্রচারকে। ঠেকানো যাবে বাংলা থেকে আসন সংগ্রহে বিজেপিকে। একাধিক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, চেয়ারম্যান পদে যেহেতু নতুন নেতৃত্ব এসেছেন, তাঁদের উদ্দেশেও বার্তা দিতে পারেন মমতা–অভিষেক বলেও মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়করা এই সভায় থাকবেন।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।