আজ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তার কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হবে। খেলা দেখবে সারা বিশ্ব। বাদ যাবেন কি জেলবন্দি তৃণমূলের দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? দু’জনেই ক্রিকেট পছন্দ করেন। কিন্তু করলে কী হবে খেলা দেখার সুযোগ কি মিলবে? সেটই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে গিয়েছে।
এমনিতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিভি রয়েছে। তাই ওয়ার্ডে থাকা বন্দিরা খেলা দেখতেই পারেন। কিন্তু যারা থাকেন সেলে তাদেরই সমস্যা। সেলে আলাদা করে কোনও টিভি নেই।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মাণিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষরা রয়েছেন প্রেসিডেন্সির ‘পহেলা বাইশ’ সেলে। সেখানেই ঠাঁই হয়েছে, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।
সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ধৃত তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখা যাবে কিনা। কিন্তু জেল আধিকারিকরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে জেলবন্দি তৃণমূলের হেভওয়েট নেতাদের বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
(পড়তে পারেন। ফাইনালের দিন কলকাতায় সস্তা চিকেন, কমছে সবজির দামও)
(পড়তে পারেন। ভারত বিশ্বকাপ জিতলেই ব্যবহারকারীদের ১০০ কোটি! বড় ঘোষণা অস্ট্রোটকের সিইও-র)
যে সময় খেলা শুরু হচ্ছে, অর্থাৎ সেই দুপুরবেলা সেল বন্দি থাকতে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যাদের। বিকেলের কিছুটা সময়ের জন্য সেলের বাইরে বেরিয়ে সামনে কিছুটা ঘোরাঘুরি করতে পারেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া ওই চত্বরের বাইরে কোথাও যেতে পারেন না।
তাই বিকেল বেলা অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে যে খেলা দেখবেন তার সুযোগ নেই। ফলে খেলার মুহূর্তে তাঁদের জেলেই থাকতে হবে। বডজোর কারারক্ষীদের কাছ থেকে খেলারর স্কোর জানাতে পারেন। ওয়ার্ডে লাগানো টিভি থেকে স্কোর জেনে এসে তারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জানাতে পারেন। কিন্তু নিজে গিয়ে খেলা দেখবেন সেই সম্ভাবনা খুবই কম।
তবে বিশ্বকাপ ফাইনাল বলে কথা। তাই শেষবেলায় সিন্ধান্ত বদলাতেও পারেন জেল কর্তৃপক্ষ। তবে সম্ভাবানা খুবই কম বলে জানা গিয়েছে জেল সূত্রে।