অনেক আশা নিয়ে এসেছিল টাইগার ৩। পাঠান, জওয়ান-এর মতো ১০০০ কোটির অঙ্ক পেরিয়ে যাবে, এমন আশাতে বুক বেঁধেছিল সলমন খানের ভক্তরা। তবে তা আর হল কই। প্রথম ৩ দিন বক্স অফিসের নম্বর বেশি থাকলেও, ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। শনিবার সপ্তম দিনে এসেও খুব একটা উন্নতি হল না। sacnilk.com-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে ছবি আয় করেছে প্রথম শনিবারে মাত্র ১৭ কোটি।
সম্প্রতি এক ইভেন্টে বিশ্বকাপের পাল্লায় পড়ে টাইগার ৩ দেখতে হলে লোক আসছে না এমনটাই দাবি করেছেন। ভাইজানকে বলতে শোনা যায়, ‘এইবার ভারত সবকটা ম্যাচ জিতেছে। আর ওয়ার্ল্ডকাপের সময়তেই আমরা এসেছি টাইগার ৩ নিয়ে। আমাদের সিনেমা বেশ ভালোই ব্যবসা করেছে। এখন ভারত ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে যাক আর তারপর সবাই আবার হলে আসা শুরু করুক।’
টাইগার ৩-এর বক্স অফিস নম্বর
শুক্রবারের বদলে দিওয়ালি উপলক্ষে রবিবার ১২ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল টাইগার ৩। প্রথম দিন যা খাতা খোলে ৪৪.৫ কোটি দিয়ে। সোমবারে আয় ছিল ৫৯.২৫ কোটি। মঙ্গলবারেও সলমনের ছবির আয় হয়েছিল ৪৪.৩ কোটি। তারপর এক ধাক্কায় অনেকখানি পতন হয় বক্স অফিস নম্বরে। বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে আয় হয় যথাক্রমে ২১.১ কোটি, ১৮.৫ কোটি ও ১৩.২৫ কোটি। শনিবার অবশ্য অবস্থা খানিক ভালো। টাইগার ৩ ঘরে তুলল ১৭ কোটি। আর ৭ দিনের মোট আয় হল ভারতীয় বাজার থেকে ২১৭.৯০ কোটি।
যশরাজ ফিল্মসের পাঠান কিন্তু মুক্তি পেয়েছিল চলতি বছরের শুরুতে। আর সেই ছবি ৭ দিনে ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩০০ কোটির ঘর। শাহরুখ খানের সিনেমা ভারতের বক্স অফিস থেকে ৭ দিনে আয় করেছিল হিন্দিতেই ৩১৮.৫ কোটি। আর তামিল ও তেলুগু জুড়লে আরও ১১.৭৫ কোটি জুড়ে হবে ৩৩০ কোটি। মানে, অনেকটাই পিছিয়ে টাইগার ৩।
মুক্তির আগে সেভাবে ছবির প্রচার করতে দেখা যায়নি সলমন খানকে। তবে বক্স অফিসে হাল টালমাটাল হতেই নেমে পড়েছে পুরো টাইগার ৩ ব্রিগেদ। যাতে রয়েছেন সলমন খান থেকে ক্যাটরিনা কাইফ, এমনকী সিনেমার ভিলেন ইমরান হাসমিও। আর এর ফলে ব্যবসার অঙ্ক যে খানিক বাড়বে তা নিসন্দেহে বলা যায়। শুধু তাই নয়, ফাইনাল শেষ হলে রবিবারের পর থেকে নতুন করে হলমুখী হতে পারে দর্শক বলেও ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিসিস্টদের ধারণা।