দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নয়, কালচারাল সেন্টার, নথি প্রকাশ করে দাবি শুভেন্দুর

Advertisement

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামী জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করতে চলেছে বিজেপি। অন্যদিকে, রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় গড়ে তোলা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির ধাম। আগামী এপ্রিলে এই মন্দিরের উদ্বোধন করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগের দিন জানিয়েছিলেন দীঘায় যেটা তৈরি করা হচ্ছে সেটা জগন্নাথ মন্দির নয়, সেখানে সরকারি টাকা দিয়ে কালচারাল সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে এ সম্পর্কিত একাধিক নথির ছবি পোস্ট প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী ভোগী হয়ে গিয়েছেন। তাই ত্যাগের প্রতীক গেরুয়া রং চোখে লাগছে: শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘গতকাল আমাকে জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যা বাংলার সরকার দিঘায় নির্মাণ করছে। আমি উত্তরে জানিয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেখানে কোনও মন্দির নির্মাণ করছে না, বরং একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করছে। কারণ ভারতের সংবিধান তা করতে সরকারকে বাধা দেয়। সংবিধান অনুযায়ী কোনও সরকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারেনা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার জন্য একটি মন্দির নির্মাণের জন্য বাংলার সরকার বা সরকারি কোনও সংস্থার আইনগত বা ধর্মীয় অধিকার নেই।’ এ প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে এনে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বা উত্তরপ্রদেশের সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ খরচ বহন করছে না। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের অনুদান নিয়ে এই ব্যয়ভার বহন করছে।’

শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার নথি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘এখানে স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে দিঘায়।’

এর আগের দিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য তিনি প্রাক্তন সংসদের পেনশন থেকে আড়াই লক্ষ টাকার চেক বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে দিয়েছিলেন। তাছাড়াও বহু হিন্দু পরিবারকেও ১০ টাকা, কেউ ৫০ টাকা যার যেমন ক্ষমতা টাকা দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, হিন্দুদের টাকাতেই অযোধ্যায় মন্দির হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, দুর্গাপুজোর উদ্বোধন পিতৃপক্ষে যেমন করা যায় না তেমনি জগন্নাথ মন্দির তৈরির নামে কালচারাল সেন্টার করা যায় না। এসব হল পাপ কাজ। মহুয়া মৈত্র যেমন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এরাও ধ্বংস হয়ে যাবে।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।