রেশন দুর্নীতিতে শ্রীঘরে রয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু তাতে কী থেমেছে চালচুরি? এখনও রেশন বণ্টন নিয়ে নানা অভিযোগ আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এবার তো একেবারে কলকাতার ঘাড়ের কাছে রেশনে খারাপ মানের চাল বণ্টন করার অভিযোগ দফতরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, হোলসেলার পয়েন্ট থেকে ভাঙা, ধুলোয় ভরা চালের বস্তা পাঠানো হয়েছে ডিলারদের কাছে। শুক্রবার হাতেনাতে তা ধরেছেন রেশন ডিলারদের সংগঠনের কর্তা। আর তার পরই ডিলারদের বস্তা পরীক্ষা করে চাল নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বস্তা বস্তা ভাঙা, ধুলোয় ভরা চাল এল কোথা থেকে?
রেশন ডিলারদের অভিযোগ, দমদম – বিধাননগর এলাকায় গণবণ্টন দফতরের ৬টি হোলসেল পয়েন্টের মধ্যে ৪টি থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের চাল দেওয়া হচ্ছে। চাল ভাঙা, তাতে ধুলো – কাঁকড় ভর্তি। এজন্য রেশন ডিলারদের দুষছেন গ্রাহকরা। তাঁরা অভিযোগ করছেন, ডিলাররা ভালো চাল বাজারে বিক্রি করে দিয়ে খারাপ চাল দিচ্ছেন। খারাপ চাল যে সরকারের গুদাম থেকেই আসছে তা মানতে চাইছেন না তাঁরা।
দিনের পর দিন এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে শুক্রবার ময়দানে নামেন রেশন ডিলারদের সংগঠনের নেতা বিশ্বম্ভর বসু। হোলসেল পয়েন্টের গুদামে গিয়ে বস্তা খুঁচিয়ে তিনি দেখেন, গোলমাল সেখানেই। এর পর গণবণ্টন দফতরের কাছে অভিযোগ জানান তিনি।
এর পর দফতরের আধিকারিকরা দেখেন অভিযোগ ১০০ শতাংশ সত্যি। উপায় না পেয়ে ডিলারদের বস্তা খুঁচিয়ে চাল দেখে নিতে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও থামছে না বিতর্ক।
প্রশ্ন উঠছে, ধুলো – কাঁকড়ে ভরা ভাঙা চাল খাদ্য দফতরের গুদামে এল কোথা থেকে? এর পিছনেও কি রয়েছে লেনদেনের কোনও গল্প। সেব্যাপারে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা।