তসলিমা নাসরিন মানেই ‘আনকাট’! যা জানাবেন স্পষ্ট জানাবেন। যা বলবেন তাতে রাখঢাক থাকবে না। বিয়ে, প্রেম কিংবা সমাজ,রাজনীতি অথবা ধর্ম, সব নিয়েই বরাবর অনায়াস, অকপট লেখিকা। তাই তো বিতর্ক পিছু ছাড়ে না তাঁর।
সোমবার ফেসবুকে এক পুরোনো ছবি শেয়ার করলেন ‘লজ্জা’ খ্যাত লেখিকা। খোলামেলা পোশাকে খাটে শুয়ে রয়েছেন তসলিমা, সঙ্গে দুই পুরুষ এবং এক মহিলা সঙ্গী। ১৫ বছর পুরোনো সেই ছবি নিয়ে এক সময় বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। বলা হয়েছিল সেটি গ্রুপ সেক্সের ছবি। এতদিনে তা শুধরে দিলেন তসলিমা। লেখিকার কথায়,’আমিই কোনো এক সময় ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। পনেরো বছর আগের ছবি এটি। এখন ছবিটি লুফে নিয়ে মাদ্রাসার কতগুলো মূর্খ মোল্লা যত্র-তত্র পোস্ট করছে আর বলছে এখানে গ্রুপ সেক্স হচ্ছে। আমি শুধরে দিয়ে বলেছি, এটি গ্রুপ সেক্সের দৃশ্য নয়। কিন্তু তারা কিছুতেই বিশ্বাস করে না যে এটি গ্রুপ সেক্সের দৃশ্য নয়। আমি বলেছি দুটো ছেলে আর দুটো মেয়ের ঘরোয়া আড্ডার দৃশ্য এটি। কিন্তু তারা তাও বিশ্বাস করে না। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমি তিনটে পুরুষের সঙ্গে সেক্স করছি।’
ছবিতে তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি তিনজনের পরিচয়ও জানান তসলিমা। সঙ্গে লেখেন, ‘এই দৃশ্যটি ভীষণ রকম একটি নন-সেক্সের দৃশ্য’। ‘মূর্খ মোল্লা’দের কটাক্ষ করে তাঁর বার্তা, ‘ছবিটির সামনের দিকে আছেন কবি সুমিতাভ ঘোষাল এবং শিল্পী বিপ্লব মন্ডল, বিপ্লব মন্ডল ধরে আছেন সুমিতাভ ঘোষালের হাত, পেছনে আমি এবং এককালের ভলিবল প্লেয়ার উস্রি মজুমদার। উস্রি পেছন থেকে আমাকে আলতো করে ধরে রেখেছে। বিপ্লব সারা সকাল আর সারা দুপুর ছবি এঁকেছে ক্যানভাসে। আমরা ওঁর আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়েছি, এবং চা বিরতির সময় কবিতা আর ছবি নিয়ে আলোচনা করার মাঝখানে এই ছবিটি তোলা হয়।’
এরপর বাংলাদেশের জন্য করুণা প্রকাশ করলেন দেশ থেকে বিতাড়িত তসলিমা। তাঁর কথায়, ‘মূর্খ লোকগুলো দিন রাত পর্ন দেখে। তারপরও তারা পর্নের দৃশ্য আর আড্ডার দৃশ্য আলাদা করতে পারে না। আসলে কোনও মেয়ের সঙ্গে কোনও পুরুষ দেখলেই তাদের মনে হয় এরা সেক্স করছে, অথবা মাত্র সেক্স করে উঠেছে, অথবা সেক্স করতে যাবে। চার বউ নিয়ে যারা গ্রুপ সেক্সের স্বপ্ন দেখে সারাক্ষণ, তাদেরই বোধ হয় এমন বিভ্রম ঘটে। সেক্স ছাড়া এদের মস্তিস্কের কোষে অন্য কোনও বার্তা ঢোকে না। এরা এদের নবীর যোগ্য উত্তরসূরি। লিঙ্গপাল আর ধর্ষকে ভরে গেছে বাংলাদেশ। দেশটির জন্য বড় করুণা হয়’।