Supreme Court: ধর্ষণের শিকার ‘সুখী বিবাহিত’ জীবনযাপন করছে, দোষীর সাজা কমিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement

১১ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা খাটছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু নাবালিকা বর্তমানে বিয়ে করে ‘সুখী বিবাহিত’ জীবন অতিবাহিত করছে। সে এই মামলাকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নয়। এই বিষয়টি বিবেচনা করে দোষী ব্যক্তির সাজা কমিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে বিচারপতি বিআর গভাই, পিএস নরসিমা এবং অরবিন্দ কুমারের একটি বেঞ্চ ভারতীয় দণ্ডিধির ৩৭৬ ধারায় ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। মামলাটি প্রথমে নিম্ন আদালতে খাণ্ডয়ার ট্রায়াল কোর্টে ওঠে। আদালত দোষী ব্যক্তিকে খালাস করে দেয়। এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে আবেদন করে। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে। দোষী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিযুক্ত। শীর্ষ আদালত বলেছে, দোষী নূন্যতম সাজা হবে সাত বছর জেল। কিন্তু আদালত যদি মনে করে তবে সাত বছরের কমও কারাদণ্ডের সাজা দিতে পারে।

নিগৃহীতার পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, অভিযোগকারী আর মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নন। তিনি সুখী বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করছেন।’ বেঞ্চ জানায় অভিযুক্ত ইতি মধ্যেই পাঁচ বছরের বেশি সাজা কেটে ফেলেছেন।

(পড়তে পারেন। স্টাফ রুমে জাত তোলা কোনও অপরাধ নয়, বলল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট) 

এই মামলায় আদালত পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলে,’আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬’ নম্বর ধারা অনুযায়ী দোষীর শাস্তি বজায় রাখছি। তবে আমার দেখছি দোষী ইতিমধ্যে যে সাজা খেটেছেন তা যথেষ্ট।’

অভিযুক্ত, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। যে রায়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে, বলা হয় অভিযুক্ত নাবালিকার দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

১৯৯৬ সালে ২২ অক্টোবর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতীও হয়ে পড়ে। নাবালিকার গর্ভপাতের জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে চায় অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু নেয়নি মেয়েটির পরিবার।  বিষয়টি নিম্ন আদালতে বিচারের জন্য ওঠে।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।