লাল শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষ, হাতে অস্ত্র, দেবী চৌধুরানীর চোখ ধাঁধানো লুকে শ্রাবন্তী! দেখে নিন অন্য চরিত্রদেরও

Advertisement

বাংলার বহু প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘দেবী চৌধুরানী’-র চরিত্রদের লুক অবশেষে এল প্রকাশ্যে। পিরিয়ড ড্রামা-র প্রতি ঝোঁক থাকে বরাবরই। আর সেই সিনেমার চরিত্রদের সাজ যদি আকর্ষণীয় হয়, তাহলে তো কথাই নেই।

পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র যে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি, তা চরিত্রদের সাজ দেখেই স্পষ্ট। চরিত্রদের লুক ডিজাইন ইতিমধ্যেই মন কাড়ল দর্শকের। ছবিতে দেবী চৌধুরানী বা প্রফুল্লর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে অভিনেত্রীর তিনটি লোক। প্রথমদি বধুবেশ। তার পরেরটি শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসার পর সাজবদল। আর একদম শেষে অভিনেত্রী আসবেন দেবী চৌধুরানীর সাজে।

একদম প্রথম লুকে পরনে বেনারসি। সিঁথির সিঁদুর পরেছে নাকে। সদ্য বিবাহিতা প্রফুল্ল। শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার পর একেবারে সাদামাটা সাজ। সুতির শাড়ি, গলায় কালো কার। তবে আসল চমক তো সেজে। দেবী চৌধুরানী হওয়ার পর লাল রঙের শাড়ি পরে আছেন শ্রাবন্তী। কপালে চন্দনের সাজ। হাত তীর-ধনুক-তরোয়াল। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। পাট আর গাছের বাকল দিয়ে চটি পরানো হয়েছে।

সিনেমায় অর্জুন চক্রবর্তীকে দেখা যাবে রঙ্গরাজের চরিত্রে। তাঁরও লুক এসেছে প্রকাশ্যে। মাথায় জটা। মুখে লম্বা দাড়ি। খাটো করে পরানো হয়েছে ধুতি। গলায় দেওয়া রুদ্রাক্ষের মালা। গায়ে মাখানো হয়েছে ভষ্ম। কাঁধে ধনুক। দু হাতে দুটি খোলা তরোয়াল।

ছবিতে যোদ্ধাবেশে দেখা যাবে বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়কেও। তাঁর চরিত্রের নাম নিশি। পরে আছেন সুতির শাড়ির উপর পাটের বর্ম। ছবিতে রয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তীও। তাঁকে দেখা যাবে প্রফুল্লর শ্বশুর হরবল্লভ রায়ের চরিত্রে। হরবল্লভ চরিত্রটিকে সাজানো হয়েছে।

প্রফুল্লর স্বামীর অর্থাৎ ব্রজেশ্বরে চরিত্রে দেখা যাবে কিঞ্জল নন্দকে। সাগরের চরিত্রে রয়েছেন দর্শনা। যিনি সেজেছেন হাতে বোনা বালুচরীতে। সঙ্গে সাবেকি সোনার গয়না। এই সিনেমায় ভবানী পাঠকের চরিত্রে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যার চরিত্র নির্মাণের কাজ এখনও বাকি।

বীরভূম, ঝাড়খণ্ড, পুরুলিয়া, বিহার ও কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হবে শ্যুটিং। নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে আপাতত কাজ শুরুর কথা রয়েছে। পরিচালক জানিয়েছেন মাস দুই লাগবে শ্যুট শেষ করতে। যদিও বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে তার অনেক আগেই কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু শুভ্রজিত স্পষ্ট করে দেন, অনেক লার্জ ক্যানভাসে শ্যুট করা হচ্ছে। যা এর আগে কোনও বাংলা সিনেমায় হয়নি। প্রায় এক বছর ধরে হয়েছিল প্রি প্রোডাকশনের কাজ। বাংলার নিজস্ব ম্যাগনাম অপাস এখন আসার অপেক্ষায়।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।