‘‌আমাকে বশ্যতা স্বীকার করানোর চেষ্টা হচ্ছে’‌, কেন্দ্র ও এজেন্সিকে তোপ অভিষেকের

Advertisement

এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার তাঁকে সমন পাঠিয়ে ডাকা হচ্ছে। যার নির্যাস শূন্য। এমনকী ডাকা হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও। যা নিয়ে তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে চড়া সুর। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ইডি–সিবিআই নিয়ে আবার একবার বিজেপিকে তুলোধনা করলেন অভিষেক। আজ,শুক্রবার ফলতার ফতেপুর হাইস্কুলের ফুটবল মাঠে বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। সেখান থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি।

কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পর্শ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই এখন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ডাকাডাকি করা হচ্ছে। আজ এমনই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের অন্তর্গত ফলতায় অভিষেক বলেন, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে বিজেপি নানাভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়েছে। এবাবে আমাদের দমিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু আমরা মাথা নত করব না।’‌ কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হলেও আদালতে তা এখনও প্রমাণ হয়নি।

তার উপর একদিন আগেই তাঁকে ইডি অফিসে তলব করা হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে প্রায় ৬ হাজার পাতার নথি জমা দিয়ে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই আজ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের অন্তর্গত ফলতা থেকে সুর সপ্তমে তুলেছেন। সেখানে তাঁর হুঙ্কার, ‘৩৬ মাস আগেও আমি যে কথা বলেছিলাম, আজকেও আমি তাতে অনড়। এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারবে না। যেদিনই আমার কর্মসূচি ছিল সেদিনই বাধা দিতে একটা প্রচেষ্টা এরা মরিয়াভাবে চালিয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর আমার বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক ছিল দিল্লিতে। সেদিনই আমায় ডেকেছে।দিল্লিতে একশো দিনের কাজে ধরনায় বসেছি। সেদিনই আমায় ডেকেছে। রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে। তখনই নোটিস পাঠানো হয়েছে।’ তবে নবজোয়ার কর্মসূচির সময়ও তলব করেছিল ইডি।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমি কৃষ্ণনগর থেকে দাঁড়িয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে জিতব’‌, আদানিকে খোঁচা দিয়ে টুইট মহুয়ার

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং বিজেপির মুখোশ খুলে দিতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, ‘‌কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে আপনারা বড় বড় ভাষণ দিতেন। আর বলতেন অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায় যুক্ত। সেই কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট আমাকে প্রটেকশন দিয়েছে। কয়লাকাণ্ডে যেহেতু আপনি কিছু করতে পারছেন না, তাই এসএসসি নিয়োগ মামলায় অভিষেককে ডাকো, তাঁর মাকে ডাকো, বাবাকে ডাকো। এসব করা হচ্ছে। কী করে আমাকে বশ্যতা স্বীকার করানো যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আমি অন্য ধাতুতে তৈরি। আমার গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বের হবে। ২০১৯ সালে বিজেপির দিল্লির নেতারা এসে বলেছিল, আমতলায় আমার সাংসদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেবে। সেই কার্যালয় আজও খোলা রয়েছে। কিন্তু বিজেপি কোনও পার্টি অফিস করতে পারেনি।’‌

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।