বালোচ স্বাধীনতাকামী এবং তালিবানের জেরে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই অশান্ত বালোচিস্তান। এই আবহে ফের রক্ত ঝরল ইরান ও আফগানিস্তান লাগোয়া এই পাক প্রদেশে। গতকাল অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের হামলায় ১৪ পাকিস্তানি সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরে বালোচিস্তানে পাক সেনার ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানাচ্ছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। জানা গিয়েছে, গোয়াদার জেলায় মৎস্যজীবীদের একটি গ্রামের কাছে এই হামলা চালানো হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, করাচি থেকে ইরান সীমান্ত পর্যন্ত যে হাইওয়ে চলে যায়, সেটা দিয়েই যাচ্ছিল পাক সেনার দু’টি গাড়ি। গাড়ি দু’টি যখন পসনি নামক একটি গ্রামের কাছে এসে পৌঁছায়, তখন সেটির ওপর হামলা চালানো হয়। আর তাতেই ১৪ জন পাক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। (আরও পড়ুন: রাতের ভূমিকম্পের বিভীষিকা সামনে আসছে সকালে, নেপালে মৃত বেড়ে ১২৮)
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানি সরকারের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি খতম হয়। এরপর থেকেই বালোচিস্তানে জঙ্গি হামলা বেড়েছে। এই সুযোগে বালোচ সশস্ত্র সংগঠনগুলিও পাক সেনা ও পুলিশের ওপর বারংবার হামলা চালিয়েছে। তবে গতকালকের ঘটনার নেপথ্যে কে আছে, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে ঘটনার পরই আশেপাশের গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পাক সেনা। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে সেনার তরফে বলা হয়েছে, দোষীদের খুঁজে বের করা হবে এবং উচিত শাস্তি দেওয়া হবে। এদিকে বালোচিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী আলি মারদান ডোমকিওএই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এই হামলার নেপথ্যে থাকা সন্ত্রাসীদের বিচার হবে।
আরও পড়ুন: মহাদেব বেটিং অ্যাপের থেকে ৫০৮ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ, মুখ খুললেন ভূপেশ বাঘেল
এর আগে গত বুধবার বালোচিস্তান প্রদেশের ঝাব জেলার সাম্বা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ছয় সন্ত্রাসীকে খতম করেছিল। এর ঠিক দু’দিন পরই এই হামলা চালানো হল। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর বালোচিস্তানে একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় এক পুলিশকর্মী সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নাসিরাবাদ পুলিশ থানায় প্রায় ২০ জন জঙ্গি একযোগে হামলা চালিয়েছিল বলে জানা যায়। এর আগে ২৯ অক্টোবর পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে দুই পাক জওয়ানের প্রাণ গিয়েছিল জঙ্গি হানায়।