বেআইনি ভাবে বাজি মজুত করা হয়েছে কি না তা খুঁজে বার করতে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থানে তল্লাশি চালাতে পুলিশকে নির্দেশ দিল কেরল হাইকোর্ট।
বিচারপতি অমিত রাওয়াল বলেন, যখনতখন কোনও ধর্মীয় স্থানে বাজি ফাটানো যাবে না। ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য কোনও ধর্মীয় গ্রন্থে বাজি ফাটানোর নির্দেশ নেই।
বিচারপতি বলেন, ‘আমি পুলিশ কমিশনার, কোচি এবং অন্যান্য জেলার ডেপুটি কালেক্টরকে নির্দেশ দিচ্ছি, সমস্ত ধর্মীয় স্থানে অবৈধ ভাবে মজুত করা আতশবাজিগুলিকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিচ্ছি। ধর্মীয় স্থানে বাজি ফাটাতে হবে এরকম কোনও নির্দেশ কোনও ধর্মগ্রন্থে নেই।’
কেরলের সমস্ত ধর্মীয় স্থানে বাজি ফাটানো বন্ধ করার জন্য হস্তক্ষেপ চেয়ে আদালতের কাছে একটি আবেদন হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
(পড়তে পারেন। ‘নির্বাচিত প্রতিনিধি না হওয়াই আমাদের শক্তি’, মন্তব্য প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের)
আবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরক বিধির অধীনে সমস্ত জেলায় বিস্ফোরক রাখার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও ধর্মীয় স্থানে বাজি রাখার জন্য এ ধরনের কোনও লাইসেন্স দেওয়া হয় না।
আবেদনে বলা হয়েছে, লাইসেন্স জারি করা হলেও তা ফাটানোর জন্য জারি করা হয় না। কারণ, বাজি শব্দ ও বায়ুদূষণ ঘটায়। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, যখনতখন বাজি ফাটানোর জন্য শান্তিও বিঘ্নিত হয়।
শুনানিতে বিচারপতি বলেন, আবেদনকারীর অবস্থানে কোনও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্র আপত্তি করেনি। বিচারপতিও এই আবেদনের সঙ্গে একমত হয়ে বলেন তিনিও মধ্যরাতে বাজির শব্দ শুনেছেন।
তাই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ডেপুটি কালেক্টরকে পুলিশের সাহায্য নিয়ে সমস্ত ধর্মীয় স্থানে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সমস্ত বেআইনি ভাবে মজুত আতশবাজি বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশের অনুলিপি সমস্ত জেলা কালেক্টরদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত স্পষ্ট করে দিয়ে জানিয়েছে, এই নির্দেশেকর পরও যদি বাজি ফাটানো হয়, তবে তা আদালত অবমাননার সামিল।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর। তার আগে আদালতের নির্দেশ মেনে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য, তা স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্যের কৌঁসুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমিত রাওয়াল।