Puri Jagannath temple: ৩ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ, সমস্যায় ভক্তরা

Advertisement

পবিত্র কার্তিক মাস শুরু হতেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদের দাম তিনগুণ বেড়ে গেল। আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভাত, ডাল এবং সবজির মহাপ্রসাদ মাথাপিছু ১০০ টাকায় পাওয়া যেত। তবে এখন থেকে তা পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকায়। যদিও এর সঙ্গে অতিরিক্ত কিছু সবজি থাকছে। অন্যদিকে, রান্না করা শাকের দাম এখন ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা হচ্ছে। প্রতিদিন পুরীতে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। এই অবস্থায় মহাপ্রসাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবে সমস্যায় পড়েছেন দর্শনার্থীরা। তবে সেবায়তদের দাবি, দাম বাড়লও বাইরের ব্যবসায়ীরা চড়া দামে সেগুলি বিক্রি করছেন ভক্তদের।

আরও পড়ুন: হিন্দু নই বলে পুরীর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি,দক্ষিণেশ্বরে মায়ের গর্ভগৃহে ঢুকেছি

জানা যাচ্ছে, মহাপ্রসাদের দাম বাড়ার ফলে গরিব ভক্তরা সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে । তাদের বক্তব্য, মহাপ্রসাদের যে দাম করা হয়েছে তা দরিদ্র দর্শনার্থীদের সাধ্যের বাইরে। সাধারণত মহাপ্রসাদ তৈরি এবং বিক্রি সম্পূর্ণরূপে মন্দিরের সেবায়েতরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তা সত্ত্বেও কেন দাম বাড়ল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সেবায়তরা। তবে তারা এর জন্য মিডলম্যানদের দায়ী করেছেন তারা । অভিযোগ, এরা চড়া দামে মহাপ্রসাদ বিক্রি করছেন। সেবায়তদের দাবি, মন্দির প্রশাসনকে তাদের বিভিন্ন জিনিসের দরুন টাকা দিতে হয়। সেই কারণে মহাপ্রসাদের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে যারা মন্দিরের বাইরে খাবার বিক্রি করছে তারা ভক্তদের কাছ থেকে চড়া দাম নিচ্ছেন। বিষয়টি মন্দির প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলে সেবয়তদের সংগঠন নিযোগের সচিব নারায়ণ মহাসুয়ার জানিয়েছেন।

এদিকে, এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগপ্রসাদ রান্না বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেবায়েতদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, আনন্দ বাজারে ভগবান জগন্নাথের ভোগের প্রসাদ নিয়ে দুর্নীতি চলছে। তাই তাঁরা রান্না বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, আনন্দ বাজারে বেআইনিভাবে টাঁকা, তোরানি, রাবড়ি, খিরি, পেঁড়া বিক্রি করা হচ্ছে। সেবায়তদের দাবি, এ নিয়ে তারা মন্দির প্রশাসনকে জানিয়েছেন, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে এই সমস্ত খাবার বাইরের বাজারে বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অভিযোগ, কলের জল, চিনা নুন এবং রান্নাঘরে পাওয়া যায় এমন যে কোনও ধরণের মশলা দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই টাঁকা তোরানি। আনন্দ বাজারে গত বেশ কয়েকদিন ধরে সেই প্রসাদ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ।

 

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।