স্বামী বা স্ত্রী যদি দীর্ঘ সময় ধরে যৌনতায় অস্বীকার করেন তবে তা মানসিক নিষ্ঠুরতার সামিল। এক বিবাহবিচ্ছেদ মামলার এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। উচ্চ আদালত এই বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছে।
স্বামী হাইকোর্টের কাছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নিষ্ঠুরতার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে থাকতে রাজি নন। তিনি স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতে চান। কিন্তু তিনি ‘ঘর জামাই’ থাকতে রাজি নন।
আবেদনকারীর দাবি, তাঁকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানা অজুহাত খাড়া করছিলেন স্ত্রী। নিজের কোচিং সেন্টার নিয়ে সে সব সময় ব্যস্ত থাকতেন। এমন কি তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতেও অস্বীকার করত।
এই নিয়ে নিয়ে স্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের বেঞ্চ বলে,স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে যৌনতাকে যদি দীর্ঘদিন ধরে এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রমাগত অস্বীকার করা হয়, তবে তা মানসিক নিষ্ঠুরতার সামিল।
আদালত বলে, এই ধরনের অভিযোগ শুধুমাত্র অস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট কোনও মন্তব্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হতে পারে না, যেখানে বিবাহটি যথাযথ ভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।
(পড়তে পারেন। বুধবার থেকে আংশিক বন্ধ দ্বিতীয় হুগলি সেতু, ৮ মাস ধরে সংস্কার, বিকল্প রুটটি জানুন)
পড়তে পারেন। সেঞ্চুরির দিকে ছুটছে পেঁয়াজের দাম, আপেলকেও টেক্কা দেবে! কেন দর বাড়ছে?)
মামলার প্রক্ষিতে আদালত বলে, এক্ষেত্রে স্বামী তাঁর প্রতি স্ত্রীর নিষ্ঠুরতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তথ্য প্রমাণ বলছে ‘শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে ঝগড়ার’ কারণে বিবাহকে কেন্দ্র করে অশান্তি তৈরি হয়েছে। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালত বিবাহ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেয়।
বেঞ্চ আরও বলে,’স্ত্রীর আচারণের কারণে স্বামীর পক্ষে আর তাঁর সঙ্গে থাকা সম্ভব ছিল না। তাই তুচ্ছ বিরক্তি এবং বিশ্বাস হারানোকে মানসিক নিষ্ঠুরতার সঙ্গে তুলনা করা যায় না।’