#কলকাতা: লড়াইটা ছিল বাংলা বনাম গোয়ার। ফুটবলের প্রতি টান দেশের এই দুটি রাজ্যের সমর্থকদের মধ্যে প্রবল। একটা সময় বাংলা ও গোয়ার ফুটবলাররা দেশের ফুটবল সার্কিটে কার্যত রাজত্ব করতেন। গোয়ার বহু ফুটবলার খেলে গিয়েছেন কলকাতা ময়দানে। এখনও খেলেন অনেকে। গোয়ার কোচদের এই রাজ্যে সাফল্যের নজির রয়েছে ভুরি ভুরি। তবে ১৩০ তম ডুরান্ড কাপ ফাইনালে বাংলা বনাম গোয়া লড়াইটা হয়ে উঠেছিল সম্মানরক্ষার। একদিকে বাংলার দল মহামেডান স্পোর্টিং। আরেকদিকে আইএসএল খেলা দল এফসি গোয়া। শেষ পর্যন্ত বাংলা বনাম গোয়া ফুটবল যুদ্ধে শেষ হাসি হাসল গোয়া। যুবভারতীতে সাদাকালো ব্রিগেডকে এক গোলে হারিয়ে ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপ জিতে নিল এফসি গোয়া।
এর আগে ২০১৩ সালে শেষবার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং। আট বছর পর ফের ঐতিহ্যশালী এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ এসেছিল মহামেডান স্পোর্টিং -এর সামনে। এফ সি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলছিলও ভাল মহামেডান স্পোর্টিং। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে গেলেন এডু বেডিয়া। ম্যাচের একেবারে শেষলগ্নে গোল খেয়ে তা আর শোধ দিতে পারল না মহামেডান। ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলা গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ায়। ১০৪ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে গোলের দেখা পায়নি মহামেডান ও এফসি গোয়া। শেষ পর্যন্ত ১০৫ মিনিটে গোল খেয়ে বসে মহামেডান স্পোর্টিং। মিলান সিং বক্সের সামনে ফাউল করেছিলেন। এফসি গোয়া ফ্রি-কিক পায়। এত কাছ থেকে পাওয়া সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেন এডু বেডিয়া।
আরও পড়ুন- Dybala Argentina injury : চোট সমস্যায় মেসিদের আর্জেন্টিনা দলে নেই দিবালা
ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দারুন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল মহামেডান স্পোর্টিং। জোসেফ, মিলানরা শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েছিলেন মহামেডানের ফুটবলাররা। কিন্তু গোল করতে পারেননি। একদিকে আই লিগ খেলা দল। আরেক দিকে আইএসএল টিম। ফলে ফুটবল সমর্থকরা বলছিলেন, আইএসএল বনাম আই লিগের দলের এই লড়াই জমজমাট হবে। বাস্তবে হলও তাই। কিন্তু শেষ বেলায় এডু বেডিয়ার গোল যেন পার্থক্য গড়ে দিল দুই দলের মধ্যে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durand Cup, Mohammedan SC