Women Reservation Bill: মহিলা সংরক্ষণ বিল তো আমাদেরই করা! দাবি সোনিয়ার, ‘দিদির’ কথা তুলল তৃণমূল

Advertisement

প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর দাবি মহিলা সংরক্ষণ বিল, সেটাতো আমাদেরই। নতুন বিল নিয়ে কাউন্টডাউন শুরু হতেই মুখ খুললেন সোনিয়া। 

সোনিয়া গান্ধী বলেন,  এটা আমাদের। ওহ হমারা বিল হ্যায়। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে প্রবেশের সময়ই তিনি একথা জানিয়ে দেন। ২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। কার্যত পরোক্ষে তিনি সেদিকেই নজর ঘোরালেন। 

গতকাল সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহিলা সংরক্ষণ বিলের অনুমোদন করেছিল। পার্লামেন্টে ও বিধানসভায় এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের ব্যাপারে বলা হয়েছে এই বিলে। তবে ২০০৮ সালে একটি বিল ছিল। সেটা ২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাশ করা হয়েছিল। সেটা মূলত লোকসভা ও বিধানসভায় সংরক্ষণ সম্পর্কিত। তবে এবার যে নতুন বিলটা আসছে সেটা মূলত রাজ্যসভা ও বিধান পরিষদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে। 

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো রাহুল গান্ধীর ২০১৮ সালের একটি চিঠি এক্স প্লাটফর্মে শেয়ার করেছেন। তিনি সেই সময় মহিলা সংরক্ষণ বিলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। রাহুল লিখেছিলেন, দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এবার প্রধানমন্ত্রীর উচিত সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলকে পাশ করানো। কংগ্রেস নিঃশর্তে সমর্থন করবে। 

তবে মনে করা হচ্ছে এই নয়া বিলে একাধিক নতুন বিষয়কে যুক্ত করা হচ্ছে। এদিকে সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হয়। সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করেন সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই মহিলা সংরক্ষণ বিলকে পাশ করতে হবে। 

তবে জয়রাম রমেশ উল্লেখ করেছেন,  রাজীব গান্ধী প্রথম এই বিল উল্লেখ করেছিলেন। পঞ্চায়েত ও পুরসভায় এক তৃতীয়াংশ মহিলা সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন। সালটা ছিল ১৯৮৯। কিন্তু বিল সেই সময় রাজ্যসভায় পাশ হয়নি।  প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও এই মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের বিল পাশ করেছিলেন। পঞ্চায়েত ও পুরসভার ক্ষেত্রে এটা বলা হয়েছিল। সাল ছিল ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাস। দুটো বিলই পাশ করা হয়েছিল। সেটা আইনে পরিণত হয়। এখন পঞ্চায়েত, পুরসভায় ১৫ লাখ মহিলা প্রতিনিধি রয়েছেন। প্রায় ৪০ শতাংশ সংরক্ষণ। 

সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও সংসদে ও বিধানসভায় মহিলা সংরক্ষণের জন্য বিল এনেছিলেন। ২০১০ সালের ৯ মার্চ সেটা পাশ করা হয়। রাজ্যসভায় পাশ হলেও সেটা লোকসভায় আসেনি। কিন্তু রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিল বাতিল হয়ে যায় না। সেটা এখনও কার্যকরী। আমরা ৯ বছর ধরে বলে আসছি সেই বিল লোকসভায় পাশ করা হোক। 

অন্যদিকে তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়  ৪০ শতাংশের বেশি আসন সংরক্ষণ করে আগেই নজির তৈরি করে ফেলেছেন। 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।