স্পেন সফরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সফরসঙ্গী রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকরা। বাংলা থেকে সাংবাদিকরাও গিয়েছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এমনকী মিত্তালদের মতো ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী যাঁরা বিদেশে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন তাঁদেরকেও বাংলায় ফিরে আসার ব্যাপারে আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার সঙ্গেই বিদেশের মাটিতে গিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বার্সোলোনায় শিল্পোপতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, দেশে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে লড়াই রয়েছে। এবং সেটা থাকবেও। কিন্তু দেশের বাইরে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ইন্ডিয়ান। সেই সঙ্গেই শিল্প সফরের কোথাও রাজনীতির কথা বলিনি। জানিয়েছেন মমতা।
তবে গোটা দেশ জুড়ে যখন ইন্ডিয়া আর ভারত নাম নিয়ে নানা চর্চা তখনই মমতার মুখে এল ইন্ডিয়ান শব্দটি। তবে একথা বলাই যায় বিদেশের মাটিও যে দিদি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত সেটা অবশ্য একাধিকবার উঠে এসেছে। তবে দেশের অন্দরেও দেখা যায় শুধু বাংলায় নয় জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি নামেই পরিচিত। আর বিদেশের মাটিতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীনেশ পট্টনায়েকের মুখেও শোনা গেল বার বার দিদি শব্দ।
তবে সূত্রের খবর, বিদেশ সফরে গিয়ে সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রী কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের নাম সেভাবে করেননি। মাদ্রিদ হোক কিংবা বার্সেলোনা আদ্যপান্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাজনীতির শব্দ বিশেষ বলতে চাননি বলেই খবর।
বিরোধীরা নানা সময় অভিযোগ করেন, প্রশাসনিক সভাকেও রাজনীতির মিটিং করে ফেলেন মমতা। আবার রাজনৈতিক মিটিংয়ে চলে সরকারি ঘোষণা। তবে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সুকৌশলে স্পেন সফরকে রাজনীতি বর্জিতই রাখলেন।
তবে সবার উপরে বঙ্গবাসীর একটাই প্রশ্ন, বিদেশ সফর তো হচ্ছে। অনেকের সঙ্গে দেখাও করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। ফুটবল নিয়েও কথা হয়েছে। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ কতটা আসবে সেদিকে কিন্তু তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। লোকসভা ভোটের আগে বিনিয়োগ যদি না আসে তবে মুখ পুড়বে শাসকদলেরই।