Santiniketan: ‘আমরা ১২ বছর ধরে কাজ করেছি…বিশ্ববাংলার গর্ব’ শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর তকমা পেতেই দাবি মমতার

Advertisement

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছে কবিগুরুর শান্তিনিকেন। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিশ্বভারতীর কাছে এটা বিরাট পাওনা। বিরাট পাওনা বাংলার কাছে, গোটা দেশের কাছে।

তবে এবার এই সম্মানপ্রাপ্তি নিয়ে নয়া দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি এক্স প্লাটফর্মে এনিয়ে লিখেছেন।

তবে জেনে রাখা ভালো গত মে মাসে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল যে সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভায় শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এরপরই রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘের সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনেসকো।

 

তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, ‘আনন্দিত ও গর্বিত যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টাউন শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ লিস্টে আসতে পেরেছে। বিশ্ববাংলার গর্ব শান্তিনিকেতন কবির দ্বারা লালিত পালিত হয়েছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলার মানুষ তার পাশে থেকেছেন। আমরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে গত ১২ বছর ধরে এখানে পরিকাঠামো যোগ করতে কাজ করে গিয়েছি আর বিশ্ব এখন এই হেরিটেজ জায়গাটিকে চিহ্নিত করল। যাঁরা বাংলাকে ভালোবাসেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সম্প্রীতির ভাবনাকে ভালোবাসেন তাঁদের অভিনন্দন। জয় বাংলা। গুরুদেবকে প্রণাম’।

তবে প্রসঙ্গত বলাই যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শান্তিনিকেতনের উপাচার্যের সংঘাত নতুন কিছু নয়। একাধিকবার এনিয়ে নানা বিষয় সামনে এসেছে। পালটা তোপ দেগেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও।

তবুও শান্তিনিকেতন গোটা দেশের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ভূমি। অনেকের কাছে এই জায়গা প্রাণের আরাম, মনের শান্তি। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ যান এই শান্তিনিকেন। সেই শান্তিনিকেতন এবার বিশ্ব হেরিটেজের তালিকায় নাম তুলল।

শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব হেরিটেজ সাইটের তালিকায় নিয়ে আসতে ২০১০ সালে উদ্যোগী হয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার এবং পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তৎকালীন ডিরেক্টর গৌতম সেনগুপ্ত। তবে সেইসময় স্বীকৃতি মেলেনি। ২০২১ সালে শান্তিনিকেতনের জন্য সওয়াল করেছিলেন স্থপতি আভা নারায়ণ। যা ইউনেসকোর মাপকাঠি পূরণ করেছে।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।