১১ অগস্ট বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল সানি দেওল আর আমিশা পাটেলের দেশভক্তির সিনেমা ‘গদর ২’। ইতিমধ্যেই তা ব্লকবাস্টারের তকমা পেয়ে গিয়েছে। বিশ্বব্যপী ছবির আয় ছাড়িয়ে গিয়েছে ৬৭০ কোটি। তবে এই সিনেমা দেখা নিয়েই ঘটে গেল মারাত্মক এক রক্তারক্তি কাণ্ড।
১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবারে ছত্তিশগড়ে ফোনে গদর ২ দেখছিলেন এক ব্যক্তি। আর সেইসময়ই হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে বসে সে। তারপর সেই ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে তাঁর বন্ধুরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাসাভুর, ফয়জল, শুভম লাহারে এবং তরুণ নিষাদ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে একজন পলাতক।
প্রয়াত ব্যক্তির নাম মালকিত। ওই যুবকের বাবা যুবকের বাবা খুরসিপার গুরুদুয়ারার প্রধান। নিহতের পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন এবং কাছাকাছি বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় ঘটনাটি জানার পরেই খুরসিপার থানায় পৌঁছয়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধও করে। এবং মালকিতের স্ত্রীর জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরির দাবি জানিয়েছে।
পুলিশের থেকে জানা গিয়েছে, মালকিত যখন তার মোবাইল ফোনে সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া ব্লকবাস্টার গদর ২ দেখছিল তখন হঠাৎই হিন্দুস্তান জিন্দাবাদের স্লোগান তুলেছিল। আর ওর বন্ধুরা ভাবে সে ওদের জ্বালাতন করতে এমনটা করছে। মালকিতের বন্ধুরা তখন তাকে বেধড়ক মারধর করে। তাকে এই ঘটনার পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে রায়পুরের রামকৃষ্ণ কেয়ার হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে বাঁচেনি মালকিত। চার অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, পঞ্চম অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
২০০১ সালের ‘গদর: এক প্রেম কথা’র সিক্যুয়েল গদর ২। যাতে তারা সিং-এর চরিত্রে দেখা গিয়েছে সানি দেওলকে। আর আমিশার চরিত্রের নাম সাকিনা। সাকিনা আর তারাকে ‘গদর’-এও দেখেছিল দর্শক। সেই সময় বউকে ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তারা। আর এবার ২২ বছর পর আসা সিক্যুয়েলে পাকিস্তান আর্মির হাতে বন্দি ছেলে চরণজিতকে ছাড়িয়ে আনতে পড়শি দেশে যায় তারা। আর শুধু কাঁটাতার পেরিয়ে প্রবেশই করে না, হাতুড়ি হাতে মেরে গুড়িয়ে দেয় পাক-আর্মিকে। দেশপ্রেমের এই সুরসুরি ভালোই কাজ করেছে। বর্তমানে ভারতে বলিউডের দ্বিতীয় সর্বাধিক উপার্জিত ছবি এটি, ঠিক পাঠানের পরেই।