‘‌বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাল কথা’‌, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শুভেন্দুর উল্টো পথে দিলীপ

Advertisement

এবারের বিধানসভার বাদল অধিবেশনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাতে চাপে পড়ে যায় বিজেপি বিধায়করা। তখন অন্য কোনও উপায় দেখতে না পেয়ে এই বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এই মাস্টারস্ট্রোকের মোকাবিলায় বর্ধিত বেতন বিজেপি বিধায়করা গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিধায়কদের বেতন বাড়ানো যে উচিত সেটা মনে করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সুতরাং তিনি শুভেন্দুর উল্টোপথেই হাঁটলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে যখন দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে খুশির হাওয়া বইছে তখন বিজেপি সাংসদের মন্তব্য খানিকটা অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের। তবে এখানে মেদিনীপুরের সাংসদ ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি নিয়েছেন। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, বিধায়কদের বেতন বাড়ানো উচিত। তবে আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ যা বকেয়া রয়েছে এবং তা নিয়ে যাঁরা আন্দোলন করছেন সেটা আগে মেটানো উচিত। আসলে দিলীপ ঘোষ খুশি বেতন বৃদ্ধি হওয়ায়। কিন্তু তিনি তো সাংসদ। তিনি তো এই বর্ধিত বেতন পাবেন না। তাই আবার দলীয় লাইনকে হালকা করে খেলে দিয়েছেন। আর তাতেই বঙ্গ–বিজেপির বেড়েছে অস্বস্তি।

অন্যদিকে মেদিনীপুরের সাংসদ দাবি করেছেন, আগে ডিএ আন্দোলনকারীদের বকেয়া মেটাতে হবে। এদিন দিলীপ ঘোষ খড়গপুরের প্রেম বাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। কিন্তু খুব একটা অমত নন বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ইস্যুতে। তবে তাঁর কটাক্ষ, ‘‌দিদিমণি আপনি পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা লাইনে যাচ্ছেন কিছু হবে না। দিদির সঙ্গে এখন আর ফটো তোলার লোক নেই। তার থেকে আমার সঙ্গে লোক বেশি রয়েছে।’‌ নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, বিধায়কদের বেতন প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা পেতেন প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে। এবার তাঁরা পাবেন ৫০ হাজার ৯০০ টাকা করে। এই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা বেতন বেড়েছে বিধায়কদের।

আরও পড়ুন:‌ আবাস যোজনায় অসহযোগিতার অভিযোগে মামলা, কেন্দ্রের হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের

ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ?‌ এই বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদকে। এই বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তিনি উপলব্ধি করেছেন। তাই সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌আমি যখন বিধায়ক ছিলাম তখন ২২ হাজার টাকা পেতাম। যেতে আসতে পেট্রোলেই সে টাকা খরচা হয়ে যেত। বিধায়কদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাল কথা। তবে আমাদের পার্টি বিরোধিতা করেছে। যাঁরা রাজ্য সরকারের চাকরি করে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে তাঁদের ডিএ আগে বাড়াও।’‌ আগের বিধায়কদের বেতনে সঞ্চয় হতো না সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাই এই বেতন বৃদ্ধি তিনি ভাল চোখেই দেখছেন।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।