উত্তরাখণ্ডের খাতিমা শহরে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। একটি আবাসিক স্কুলে পোশাক তৈরিr নামে কমপক্ষে ১০০ জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই দর্জির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই দুই দর্জির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ওই দুই দর্জির নাম হল শাকিল এবং মহম্মদ উমর। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগ ছাত্রীদের পোশাক তৈরির জন্য মাপ নেওয়ার সময় তারা শ্লীলতাহানি করত। তারা মাপ নেওয়ার নাম করে ছাত্রীদের গোপনাঙ্গে স্পর্শ করত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: X-Ray করাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার ডাক্তারির ছাত্রী, গ্রেফতার X-Ray টেকনিশিয়ান
খাতিমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীর সিং জানিয়েছেন, অভিভাবকদের সংগঠনের সভাপতি রাজবীর সিং রানার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার শাকিল এবং মহম্মদ উমরকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। আবাসিক স্কুলটি উধম সিং নগর জেলার খাতিমা শহরে অবস্থিত। ওই স্কুলে ১২০ জন ছাত্রী রয়েছে এবং ২৫০ জন ছাত্র রয়েছে। তারা সকলেই তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। তিনি জানান, পোশাক মাপার সময় অভিযুক্তরা তাদের খারাপ মতলব নিয়ে স্পর্শ করেছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের আরও তিনজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা হল– অশোক আর্য, মমতা খোলিয়া এবং চন্দ্রশেখর। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এই কুকর্মের প্রতিবাদ করার পরিবর্তে ছাত্রীদের নিয়ে উপহাস করেছিল।
এফআইআরে বলা হয়েছে, যে অশোক আর্য মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘তাদের ধর্ষণ করা হলেও কিছুই হবে না।’ যদিও এই মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করবে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, তিনজনই ওই স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই তিন জনকে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে এফআইআরে আরও বলা হয়েছে যে স্কুলে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। স্কুলের কর্মীদের একাংশ সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু, স্কুলের কর্মীরা মেয়েদের হুমকি দিয়েছিল যে তারা এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেই তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এবিষয়ে স্কুল প্রশাসনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুতই এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।