Kota: ক্লাস এইটের আগে কোটাতে নয়! বড় সুপারিশ আনছে কমিটি, কেন জানেন?

Advertisement

সেঁজুতি সেনগুপ্ত, সচিন সাইনি

মেডিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য অনেকেই রাজস্থানের কোটাতে যায়। সেখানেই প্রশিক্ষণ নেয়। তবে সেখানে একের পর এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ একেবারে মাত্রাছাড়া। তবে এই ঘটনা কমাতে ১৫ সদস্যের প্যানেল তৈরি করেছিল রাজস্থান সরকার। গত ১৭ অগস্ট সেই প্যানেল তৈরি করা হয়।

তবে তাদের সুপারিশ হল ক্লাস এইটের আগে যেন কেউ কোটাতে ভর্তি হতে না পারে। সেই সঙ্গে যারা ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে তারা যেন রিফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই সঙ্গেই শিক্ষক ও হস্টেলের মালিকদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের কথাও বলা হয়েছে। মূলত আত্মহত্যা এড়াতেই এই বিশেষ উদ্যোগ।

হিন্দস্তান টাইমস সূত্রে খবর। ১৫ সদস্য়ের ওই কমিটিতে আছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভবানী দেতহা।এবার কোটাতে অন্তত ২৪জন আত্মহত্যা করেছে বলে খবর। ২০১৫ সালের পরে এই প্রথম এতজন আত্মহত্যা করল। তবে ইতিমধ্যে ওই কমিটি পুলিশ, শিক্ষক, হস্টেলের মালিক সহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।

তবে এবার তার ভিত্তিতে নয়া পলিসি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তার আগে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। রাজস্থান বিধানসভার আগামী অধিবেশনে এটা পেশ করা হবে।

মনে করা হচ্ছে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে যাতে ক্লাস এইটের আগে মানে ১৩-১৪ বছরের আগে কেউ কোটাতে ভর্তি হতে না পারে। কোর্সের মাঝপথে কেউ যদি বেরিয়ে যেতে চায় তার জন্য রিফান্ডের ব্যবস্থা থাকবে। মূলত যেটা বলা হচ্ছে যে প্রবল মানসিক চাপের জেরে অনেকে আত্মহত্যা করে ফেলছেন। কারণ কোটাতে ভর্তি হতে গেলে বিপুল টাকার দরকার। আর সেখানে সফল না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। পরিবারের উপর বোঝা বাড়বে। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না তারা। প্রচন্ড অবসাদে দিশেহারা হয়ে একটা সময় চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পড়ুয়াদের একাংশ।

অন্যদিকে কোনও পড়ুয়ার মধ্যে যদি মানসিক অবসাদ গ্রাস করে তবে তা নিয়ে যাতে খোঁজ রাখা হয় সেব্যাপারেও বলা হচ্ছে। মূলত বিভিন্ন জায়গায় পেয়িং গেস্ট রাখা হয়। হস্টেলেও থাকেন অনেকে। কিন্তু তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে কি না সেটা দেখা দরকার। বলা হচ্ছে এই কোটাকে কেন্দ্র করে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা আবর্তিত হয়।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।