Train Ticket: মাসের শেষে পরপর ছুটি, উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনের টিকিট অমিল, কী করবেন এবার?

Advertisement

সরকারি চাকরি যারা করেন তাঁদের অনেকেই বছরভর হিসেব করেন কবে পরপর ছুটি পাওয়া যাবে। ছুটি মানেই তো ঘুরু ঘুরু। তবে পুজোর আগেই সেই সুযোগ এসে যাচ্ছে। কিন্তু ছুটি হলে কী হবে? বেড়াতে যাওয়ার টিকিট প্রায় অমিল। অনেকেই এই সুযোগে উত্তরবঙ্গে একবার ঘুরে আসতে চাইছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তো এই সময়টাতে কিছুটা ফাঁকা ফাঁকা থাকবে। পুজোর সময় তো পা ফেলা যাবে না দার্জিলিংয়ে। কিন্তু বিধি বাম। টিকিট কাটতে গিয়ে মাথায় হাত অনেকেরই।

আসলে অনেকে ভাবেন পুজোর দিনগুলোতে কলকাতায় থাকব আর আগে দার্জিলিং, মন্দারমনি কিংবা দিঘায় ঘুরে আসব। তবে আপাতত অনেকেরই ভরসা এখন বাস। এনবিএসটিসির বাসে আসন আছে কি না তা নিয়েও খোঁজ চলছে। এনজেপি বন্দে ভারতের টিকিট সার্চ করে দেখছেন অনেকেই।

শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য একাধিক সরকারি ও বেসরকারি বাস রয়েছে। সেখানেও টিকিট কাটার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তবে হাওড়া থেকে দিঘা যেতে গেলে ট্রেনের রিজার্ভেশন না হলেও চলে। বাসেও দিঘা যাওয়ার প্ল্যান করেছেন অনেকেই।

২৮ সেপ্টেম্বর ছুটির দিন রয়েছে। সেই দিনটা বৃহস্পতিবার। এরপর শুক্রবার যদি কেউ ছুটি নিয়ে নিতে পারেন তবে একেবারে সোনায় সোহাগা। এরপর পড়বে শনি ও রবিবার। অধিকাংশ সরকারি অফিস ছুটি থাকে। আর সোমবার অফিসের কোনও ব্যাপারই নেই। কারণ সোমবার হল ২রা অক্টোবর। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। ওই দিন গোটা দেশজুড়েই ছুটি থাকে। সেক্ষেত্রে পরপর ছুটির দিন। মানে কেউ যদি শুক্রবার ছুটি নিয়ে নিতে পারেন সেক্ষেত্রে তার একেবারে টানা পাঁচদিনের ছুটি। কিন্তু এই ছুটিতে যাবেন কোথায়?

ট্রেনের অধিকাংশ টিকিটই মিলছে না। এদিকে বৃষ্টির মধ্য়েই অনেকে ভেবেছিলেন দার্জিলিংয়ে একবার ঘুরে আসবেন। কিন্তু এনজেপি পর্যন্ত যাবেন কীভাবে? অনেকেই পদাতিক ও দার্জিলিং মেলটাই বেছে নেন এনজেপি যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে লম্বা ওয়েটিং। সেই ট্রেনের টিকিট আদৌ কনফার্ম হবে কি না সন্দেহ। তবে তিস্তা তোর্সা ও উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসেরও একই পরিস্থিতি। তবে নিউ কোচবিহার কোটায় একবার চেষ্টা করতে পারেন।

এদিকে টিকিট কনফার্ম না হলে পরিবার নিয়ে ট্রেনে চাপাটা বেশ সমস্যার।  অনেকের আবার ফেরার টিকিট ওয়েটিং বা আরএসি রয়েছে। কিন্তু সেগুলি কি কনফার্ম হবে? সেই চিন্তাও রয়েছে। অনেকে বাসে ফেরার কথা ভাবছেন। তবে সূত্রের খবর, ছুটির দিনগুলিতে দার্জিলিং বা পদাতিক এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত বগি বা স্পেশাল ট্রেন চালু করা যায় কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।