RG Kar Medical College and Hospital: সন্দীপ ঘোষকেই অধ্যক্ষ চাই, আরজিকরে দাবি ছাত্রদের, মানল না স্বাস্থ্য দফতর

Advertisement

ফের আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলি ঘরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোমবার তাঁর বদলির নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁর জায়গায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মানস কুমার বন্দ্যোপধ্যায়কে আনার নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো তিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজেও গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, সন্দীপ ঘোষকে সরানো যাবে না। যদিও শেষমেষ আরজিকরের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বদলি করে  দেয় স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পাবে RG Kar, মিলল জমি, ছাড়পত্র মন্ত্রিসভার

সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থপেডিক্স বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় আরজিকরের নতুন অধ্যক্ষ করা হচ্ছে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজের মানস কুমার বন্দোপাধ্যায়কে। তারপর থেকেই বিক্রম শুরু করে পড়ুয়ারা। 

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো মানসবাবু আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে আসলেও বিক্ষোভের জেরে প্রিন্সিপ্যাল রুমে ঢুকতে পারেননি। সুপারের ঘরেই তিনি বসে থাকেন। শেষে স্বাস্থ্য ভবনের হস্তক্ষেপে কাজে যোগদান মানস বাবু। তবে পড়ুয়ারা আন্দোলন করলেও চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ মানস বাবুকে সমর্থন করেছেন। এ প্রসঙ্গে, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সংসদ শান্তনু সেন বলেন, সরকারের নির্দেশ মেনে চলা উচিত। উল্লেখ্য, আরজিকরে বিক্ষোভ এই প্রথম নয়। এর কয়েক মাস আগে সন্দীপ ঘোষকে বদলির নির্দেশিকা জারি করেছিল স্বাস্থ দফতর। তার জায়গায় উলুবেরিয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সনৎ ঘোষকে আনা হয়। তিনি সেইমতো কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় হাসপাতালে সুপার বা অধ্যক্ষ কেউ ছিলেন না। তিনি ইমেলে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জয়েনিং রিপোর্ট পাঠান। পরের দিন অবশ্য সন্দীপ বাবুকেই আরজিকরের অধ্যক্ষ হিসেবে বহাল রাখা হয়। 

প্রসঙ্গত, শান্তনু সেন হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগের সত্যতা মেলায় মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার আগেই বদলির নির্দেশ জারি হয়। তার মধ্যে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক করেন শান্তনু দেন। অবশেষ স্বাস্থ্য ভবনের হস্তক্ষেপে কাজে যোগদান করেন মানসবাবু।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।