মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক তৃণমূলের, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অ্যাকশন

Advertisement

রাজভবন–রাজ্য সরকার সংঘাত এখন চরমে উঠেছে। সেটা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হুমকি এবং মাঝরাতে চিঠি পাঠানো সেই সাক্ষ্য বহন করছে। তিনি নিজেই অ্যাকশন নেবেন বলে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। তাতে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে এবার পাল্টা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। আজ, সোমবার থেকেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই কর্মসূচি শুক্রবার (‌১৫ সেপ্টেম্বর)‌ পর্যন্ত চলবে বলে খবর।

এদিকে এই পাঁচদিন ধরে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়া হয়েছে। আজ, সোমবার কলকাতা, উত্তরবঙ্গ এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অধ্যাপক থেকে প্রাক্তন উপাচার্যরা। আর আগামীকাল মঙ্গলবার রবীন্দ্রভারতী, কাজি নজরুল, আলিপুরদুয়ার এবং মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা বে বলে জানানো হয়েছে। চলবে।

অন্যদিকে উপাচার্য নিয়োগ করার বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে সংঘাত চরমে উঠেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, রাজভবনের কথায় চললে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করবে রাজ্য সরকার। ধরনায় বসবেন তিনি নিজে। তবুও এই বিবাদের নিষ্পত্তি হয়নি। এবার নেওয়া হয়েছে পাল্টা অ্যাকশনের কর্মসূচি। প্রেসিডেন্সি এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার চলবে বিক্ষোভ। আর শেষ দিন শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়া হয়েছে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার জন্য।

আরও পড়ুন:‌ চন্দ্র–ভ্রমে ফরওয়ার্ড ব্লকে করল কি যোগ?‌ নেতাজির দলে পা রাখতেই তুঙ্গে গুঞ্জন

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ইতিমধ্যেই ব্রাত্য বসুর নামে নালিশ ঠুকেছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্র এবং রাজ্য—দুই সরকারকে লিখিত চিঠিতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। এই বিবাদে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক হতে দেখা গেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যপাল মনের আনন্দে পুতুল খেলা খেলছেন।’ তারপরই শনিবার রাজ্যপাল নিজেই ঘোষণা করেন মাঝরাতে তিনি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। যদিও সেটা পর্বতের মূষিক প্রসব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি দুটি গোপন চিঠি পাঠিয়ে ক্ষান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পথে নামার হুঁশিয়ারি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।