চারজন বাঙালি বিজ্ঞানী পেলেন ভাটনগর পুরষ্কার, টুইট করে শুভেচ্ছা মমতার

Advertisement

আবার বাংলার নাম উজ্জ্বল হল। দেশে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কার পেলেন আইআইসিবি’‌র বাঙালি চিকিৎসক তখা গবেষক ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম কোনও বাঙালি এই পুরষ্কার পেলেন। করোনাভাইরাসের উপর কাজ করে এই পুরষ্কার প্রাপ্তি তাঁর। এই পুরষ্কার পাওয়ায় এক বাঙালির এই সম্মান আপামর বাঙালিকে গর্বিত করেছে। এই পুরষ্কার প্রাপ্তির ঘটনায খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশ সফররত মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন।

কারা পেলেন এই পুরষ্কার?‌ ভাটনগর পুরষ্কার পেলেন চারজন বাঙালি। এই তালিকায় রয়েছেন—রসায়নে আইআইটি বম্বের দেবব্রত মাইতি, চিকিৎসায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়, পদার্থবিদ্যায় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের অনিন্দ্য দাস এবং মুম্বই টিআইএফআরের বাসুদেব দাশগুপ্ত। সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা বিজ্ঞানের মঞ্চে বাঙালির যেন জয়জয়কার। মোট ১২ জন এই সম্মান পাচ্ছেন। তার মধ্যে চারজন বাঙালি। যা রীতিমতো গর্বের।

ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ আজ, সোমবার এই পুরষ্কার প্রাপ্তির পর টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে শুভেচ্ছা জানান। আর লেখেন, ‘‌সম্মানপ্রাপক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই। বহু বছর পর বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন গবেষকের হাত ধরে এই ভাটনগর সম্মান এল। কোভিডের উপর গবেষণা করে এই পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন। অনেক শুভেচ্ছা রইল।’‌ কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ প্রত্যেক বছর দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কার দেওয়া হয়। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও শারীরিক বিজ্ঞান–সহ সাতটি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ভাটনগর পুরষ্কার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:‌ পুলিশকে সিসিটিভি পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন মেয়র, দুর্গাপুজোর বৈঠকে কড়া ফিরহাদ

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বাংলার ঝুলিতে এই পুরষ্কার আসায় তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অবশ্যই সেটা আনন্দের। ২০২২ সালের অসামান্য কাজের জন্য এই বছর ১২ জন বিজ্ঞানীকে ভাটনগর পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে। এই পুরষ্কারের ঝুলিতে রয়েছে—একটি প্রশংসাপত্র, একটি ফলক এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা। এই পুরষ্কার পাওয়ার পর দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‌রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আর‌ও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে?‌ সেটাও দেখতে হবে।’‌

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।