প্রাথমিকের ইন্টারভিউর ভিডিয়োগ্রাফিতেও ঘাপলা!ফুটেজ যাচাইয়ে মামলাকারীকে তলব আদালতে

Advertisement

প্রাথমিকে নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের ভিডিয়োগ্রাফিতেও ঘাপলা? এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের পেশ করা ভিডিয়ো আসল কি না তা জানতে মামলাকারীকে আদালতে তলব করেছেন তিনি। ইচ্ছাকৃতভাবে অস্পষ্ট ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৬টি ভুল প্রশ্নে সবাইকে বাড়তি ৬ নম্বর দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একই সঙ্গে নম্বরবৃদ্ধির ফলে যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তাদের ২০২২ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। কিন্তু অমনা পারভিন নামে এক প্রার্থী অভিযোগ করেন, নম্বর বৃদ্ধির ফলে তিনি টেট পাশ করলেও তাঁকে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে অনুমতি দিচ্ছে না পর্ষদ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।

এই মামলার শুনানিতে পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের ভিত্তিতে ওই প্রার্থীকে নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। তখন ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের ভিডিয়োগ্রাফি ফুটেজ দেখতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেন বিচারপতি। ফুটেজ দেখে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন তিনি। বলেন, এত রকম আওয়াজ যে প্রার্থীকে কী প্রশ্ন করা হয়েছিল সেটাই শোনা যাচ্ছে না। কী কারণে এই প্রশ্ন করা হয়েছে সেটাও স্পষ্ট নয়। মামলাকারী খাতায় কী লিখেছেন সেটাও ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না। এই ফুটেজের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়।

এর পরই ফুটেজের সত্যতা যাচাইয়ে ও ফুটেজ পুনরুদ্ধারে মামলাকারীকে আদালতে তলব করেন বিচারপতি। ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে হবে অমনা পারভিনকে। তাঁর সামনেই ফুটেজ দেখবেন বিচারপতি।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।