Madhuri Dixit: শুধু ব্রা পরে শট দিতে হবে! পরিচালকের নির্দেশে আপত্তি মাধুরীর, মাঝপথেই ভেস্তে যায় শ্যুটিং

Advertisement

আশির দশকের একদম শেষে বলিউডে আত্মপ্রকাশ মাধুরী দীক্ষিতের। তাঁর রূপে-লাস্য়ে মুগ্ধ হয়েছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। ধকধক গার্ল মাধুরীর চার্ম চার দশক পরেও অটুট। কিন্তু জানেন কি কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকে স্ক্রিনে শুধু ব্রা পরে ধরা দিতে অস্বীকার করায় পরিচালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন নায়িকা! বাদ পড়তে হয়েছিল ছবি থেকে, তবুও নিজের আদর্শ বদলাতে রাজি ছিলেন না অভিনেত্রী। 

অভিনয়ের পাশাপাশি একটা সময় পরিচালক হিসাবেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন টিনু আনন্দ। আশির দশকে অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে ‘শাহেনশা’, ‘কালিয়া’র মতো ছবি তৈরি করেছন টিনু। ১৯৮৯ সালে অমিতাভকে নিয়ে ‘শনাক্ত’ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন পরিচালক, নায়িকার চরিত্রে বাছা হয়েছিল মাধুরীকে। তখন ‘তেজাব’, ‘রাম লক্ষ্মণ’-এর মতো ছবির সুবাদে বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা হয়ে উঠেছে এই সুন্দরী। এক, দো, তিন, চার জ্বরে সেইসময় ভুগছে গোটা দেশ।

এই ছবি ফ্লোর পর্যন্ত পৌঁছাতেও মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। এত যুগ পর পরিচালক টিনু আনন্দ ফাঁস করলেন এই ছবি ঘিরে মাধুরীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের কথা। শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনই পোশাক নিয়ে ঝামেলায় জড়ান তাঁরা। একটি দৃশ্যে মাধুরীকে শুধু অন্তর্বসে শট দেওয়ার নির্দেশ নেন পরিচালক, রাজি হননি নায়িকা। রেডিও নশাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিনু আনন্দ বলেন-‘সেই দৃশ্য অমিতাভকে গুণ্ডারা শিকলে বেঁধে রেখেছে। মাধুরীকে বাঁচাতে গিয়েই গুণ্ডাদের হাতে ধরা পড়েন অমিতাভ। তখন মাধুরীর চরিত্রটি জানায়, যখন তোমাদের সামনে সুন্দরী দাঁড়িয়ে তখন কেন একটা মানুষকে চেনে বেঁধে মারধর করছো?’

টিনুর দাবি চুক্তিতেই সই করানোর আগে গোটা দৃশ্যটির কথা মাধুরীকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন তিনি। পরিচালক বলেছিলেন ওই দৃশ্য মাধুরীক তাঁর ব্লাউজ খুলে ব্রা পরে দাঁড়াতে হবে ক্যামেরার সামনে। টিনু বলেন-‘প্রথমবার আমরা তোমাকে ব্রা-তে দেখব। আমি কোনওকিছুই লুকাবো না। কারণ তুমি নিজেকে সঁপে দিচ্ছো একজন পুরুষের প্রাণ বাঁচাতে, যে তোমার জীবন বাঁচাতে নিজের জীবনের বাজি রেখেছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দৃশ্য, প্রথমদিনই এটার শ্যুট করব। সে বলেছিল- আচ্ছা ঠিক আছে’। 

পরিচালক জানান, সেই দৃশ্যের জন্য মাধুরীকে নিজের পছন্দমতো ব্রা বেছে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি, তবে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল সেটা যেন ব্রা হয়, অন্য কোনও পোশাক চলবে না। এরপর সেটে মাধুরীর জন্য ৪৫ মিনিট ধরে অপেক্ষা চালাচ্ছিল গোটা ইউনিট, কিন্ত নায়িকা কিছুতেই প্রস্তুত নন। এরপর পরিচালক তাঁকে সমস্যার কথা জিগ্গেস করলে অভিনেত্রী বলেন-‘এই দৃশ্যটা আমি করতে পারব না।’ পরিচালক একথা শুনেই মেজাজ হারান। স্পষ্ট বলেন- ‘আচ্ছা ঠিক আছে, এই ছবিকে তুমি বিদায় জানাও। আমি শ্যুটিং বাতিল করে দিচ্ছি’। 

অমিতাভ বচ্চন সব ঘটনা জানতে পেরে পরিচালক ও নায়িকার মধ্যেকার ঝামেলা মেটাতে চেয়েছিলেন। শাহেনশা পরিচালককে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, মাধুরী তৈরি না থাকলে তাঁকে যেন জোর না করা হয়। কিন্তু নাছোড়বান্দা ছিলেন টিনু। তিনি স্পষ্ট বলেন- ‘এই দৃশ্যে আপত্তি থাকলে, ছবি সই করার আগে মাধুরীর সেটা বলা উচিত ছিল’। সেই মুহূর্তে ওই ছবি থেকে মাধুরীকে ছেঁটে ফেলে নতুন অভিনেত্রী নিতে চেয়েছিলেন পরিচালক। তবে মাধুরীর সেক্রেটারি পরিচালককে আশ্বাস দেন, মাধুরী সেই দৃশ্য করবেন তবে তাঁকে যেন খানিক সময় দেওয়া হয়। 

এরপর দিন পাঁচেক ‘শনাক্ত’-এর শ্যুটিং হয়েছিল। এরপর আমচকাই তা বন্ধ হয়ে যায়। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার পর মাধুরীর সঙ্গে আর কোনওদিন কাজ করেননি টিনু আনন্দ। 

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।