CV Ananda Bose: ব্রাত্যর বৈঠকে রাজভবনের ‘যেতে মানা’! বিপাকে রেজিস্ট্রাররা

Advertisement

রাজ্যপালের কথা মানলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আর্থিক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তৎপর হয়েছে শিক্ষা দফতর। রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের তড়িঘড়ি তলব করা হয়েছে বিকাশ ভবনে। সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের ডাকে সাড়া দিতে রেজিস্ট্রারদের নিষেধ করছেন বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। রাজভবন থেকে তাঁদের কাছে এমন বার্তা গিয়েছে।

সূত্রের রাজভবনের সচিবালয় থেকে নির্দেশ গিয়েছে উপাচার্যদের কাছে, যাতে তারা রেজিস্ট্রারদের ওই বৈঠকে যেতে নিষেধ করেন। সেই নির্দেশ পেয়ে উপাচার্যরাও রেজিস্ট্রারদের শিক্ষাদফতরের বৈঠকে যেতে মানা করেছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন উপাচার্যরা। বৈঠকে না গেলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে পারে বিকাশভবন। আবার যদি যান তবে রাজ্যপালের নির্দেশ অমান্য করা হবে।

(পড়তে পারেন। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে বিশবাঁও জলে সার্চ কমিটি, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ) 

সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন রেজিস্ট্রার শিক্ষা দফতরে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে জানালেও তারা বুঝতে পারছেন না কোথাকার জল কোথায় গিয়ে পৌঁছবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার শিক্ষক নেতা পার্থপ্রতিম রায় সংবাদমাধ্যমে বলেন,’রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়ারা। এই সংঘাতের পরিবেশ থাকা উচিত নয়। তবে কোনও মন্ত্রী যদি ডাকেন তবে রেজিস্ট্রারদের যাওয়া উচিত।’

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘আপনি ( রাজ্যপাল) যদি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেন, আর কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনার কথা শুনে চলে আমি কিন্তু অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। এখানে টিট ফর ট্যাট। নো কম্প্রোমাইজ। দেখি আপনি কোন কলেজ, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাইনে দেন!’ মুখ্য়মন্ত্রী রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার হুমকি দেন। 

এ প্রক্ষিতে রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‌আমার সাংবিধানিক সহকর্মী মুখ্যমন্ত্রী যা প্রতিবাদ করতে চান তা রাজভবনের ভিতরে এসে করুন। আমরা দু’‌হাত জড়ো করে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।’‌

(বিস্তারিত পড়ুন। ‘‌প্রতিবাদ রাজভবনের ভিতরে এসে করতে পারেন’‌, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা দিলেন রাজ্যপাল)

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।