তাহলে কি বিশ্ব ফুটবলের ওপর থেকে একছত্র আধিপত্য সরে যাচ্ছে তাঁর? ইউরোপ কেন্দ্রিক ফুটবল লিগ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সমানভাবে ছড়িয়ে পড়বে। মেসি, রোনান্ডো মতো ফুটবলাররা ইউরোপ ছাড়ার পর থেকেই এই জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এইবার ঘটল এক অভূতপূর্ব ঘটনা। ২০ বছরের ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবার ব্যালন ডি’অরের থেকে নাম বাদ গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনান্ডোর। এরপরে আরও বিস্ময়জনক কথার সাক্ষীও থাকল বিশ্ব ফুটবল। রোনাল্ডো জানালেন তিনি ও মেসি দু’জনে বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাস বদলে দিয়েছেন।
রিয়াল মাদ্রিদ অনেক আগেই ছেড়েছেন সিআর সেভেন। মাঝে এদিক-ওদিক কাটিয়ে নিজের পুরনো দল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে ফেরেন তিনি। সেখানেও বাঁধিয়ে বসেন ঝামেলা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই দল ছাড়তে হয় তাঁকে। যোগ দেন এশিয়ার দল আল নাসেরে। সেখানেই তিনি বর্তমানে খেলছেন। প্রথম কিছুদিন খারাপ ফর্ম এবং রোনান্ডো খচিত কিছু বিতর্কের জোরে সংবাদ মাধ্যমে ভেসে আসেন তিনি। এখন অবশ্য নিজের পুরনো ছন্দে রয়েছেন এই তারকা। এইরকম পরিস্থিতিতেই ২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জন্য মনোনীত হলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
পাঁচবার এই পুরস্কার জিতেছেন পর্তুগাল তারকা। অন্যদিকে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসি সাতবার এই পুরস্কার জিতেছেন। একই সঙ্গে এই বছরও ব্যালন ব্যালন ডি’অর জন্য মনোনীত হয়েছেন। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের নমিনেশন পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর একটি আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো মেসির সম্পর্কে বলেন, ‘যারা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে পছন্দ করে বা ভালবাসে, তাদের মেসিকে ঘৃণা করতে হবে, এরকম কোনও কথা নেই বরং এর বিপরীতও হতে পারে। আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি। ফুটবলের ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছি। বিশ্বজুড়ে আমরা সম্মানিত। এর থেকে ভালো বিষয় আর কিছু হতে পারে না। আমি আমার পথ বেছে নিয়েছি। ইউরোপের বাইরে খেলাটাকে স্থির করেছি। মেসিও নিজের কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার চোখে আমরা দুজনেই ভালো করেছি।’
গত বছর কাতার বিশ্বকাপ জিতেছেন লিওনেল মেসি। অধিনায়ক হিসেবে দলকে তুলে নিয়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত। সারা বিশ্বকাপ জুড়ে করেছেন অসাধারণ পারফরমেন্স। শুধু নিজের গোল করেননি সতীর্থদো দিয়েও গোল করিয়েছেন। সেই দিক থেকে মনে হচ্ছে আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিততে পারেন মেসি।