১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। এই দলের রণকৌশল ঠিক করতে মঙ্গলবার একটি বৈঠক করল কংগ্রেসের সাংসদীয় কমিটি। বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি, আদানি গ্রুপকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক বিতর্ক, হিমাচল প্রদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মণিপুরে চলমান অস্থিরতা মতো বিষয়গুলি অধিবেশনে তোলা হবে বৈঠকে ঠিক হয়েছে।
কংগ্রেস মনে করছে, সরকার আগে থেকে ঠিক করা কিছু এজেন্ডা পাশ করাতে এই অধিবেশনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু দল চেষ্টা করবে তাদের আলোচ্য বিষয়গুলি অধিবেশনের কার্যসূচিতে আনার জন্য চাপ দিতে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন,’আমরা পাঁচ দিনের জন্য মোদী চালিশা শুনব না।’
তিনি আরও বলেন,’রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সামাজিক সমস্যা রয়েছে। আমরা বিষয়গুলি নিয়ে আগের অধিবেশনে উত্থাপন করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সময় দেওয়া হয়নি। আমরা আশাবাদী এই অধিবেশনে তা আলোচনা করা সুযোগ পাব। আমরা পাঁচ-সাতটি বিষয় বাছাই করব এবং আমরা দাবি করব অধিবেশনে ওই বিষয় আলোচনা করতে।’
লোকসভায় কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ বলেন,’মণিপুরের অস্থিরতা এখনও অব্যাহত। হিমাচল ও উত্তরপূর্বে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বেকারত্ব, বন্যার মতো জাতীয় বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
(পড়তে পারেন। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই কি মহিলা সংরক্ষণ বিল? জল্পনা বাড়ালেন ধনখড়, BRS নেত্রী)
তবে গগৈ, রমেশ দুজনেই অভিযোগ তোলেন, সরকার তাদের আলোচ্য সূচিগুলি প্রকাশ্যে আনছে না বলে। গগৈ বলেন,’যখনই সংসদের অধিবেশন ডাকা হয়, সরকার তাদের এজেন্ডা সম্পর্কে বিরোধী দলকে অবহিত করে। বৃহত্তর প্রেক্ষিতে সরকার বিরোধীদের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে আশ্চর্যজনক ভাবে অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ্যে আনছে না বিজেপি।’