চোটের জন্য আগেই এশিয়ান গেমস থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। আর এবার আরও বড় ধাক্কা খেলেন ধিং এক্সপ্রেস। জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা প্রাথমিক ভাবে নির্বাসিত করল তারকা স্প্রিন্টার হিমা দাস। এক বছরে তিন বার ডোপ পরীক্ষা এড়ানোয় অভিযুক্ত হয়েছেন হিমা।
চলতি বছরের শুরু থেকেই চোট সমস্যায় জেরবার হয়ে রয়েছেন ২৩ বছরের অসমের অ্যাথলিট। আর এই চোটের জন্যইতারকা স্প্রিন্টারের নাম এশিয়ান গেমসের দলে নেই। এবার আবার গোদের উপর বিষফোঁড়া! জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা সব অ্যাথলিটেরই নিয়মমাফিক টেস্ট করায়। এক বছরের মধ্যে তিনটে ডোপ টেস্ট দেওয়ার কথা ছিল হিমার। অভিযোগ, সেই টেস্ট হিমা এড়িয়ে গিয়েছেন। যে কারণেই তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছে। দোষী সাবস্যস্ত হলে তাঁকে দুই বছররে জন্য নির্বাসিত করা হতে পারে।
তবে একথাও জানা গিয়েছে, হিমাকে প্রথামিক ভাবে নির্বাসিত করা হলেও, যদি তিনি ডোপ টেস্ট না দেওয়ার যথাযথ কারণ জানাতে পারেন, তবে তাঁর নির্বাসনের শাস্তি কমতেও পারে। তেমন হলে শাস্তি কমে এক বছরের নির্বাসনের মুখে পড়তে পারেন হিমা।নিয়ম কী বলছে? ওয়াডা বা বিশ্ব ডোপ বিরোধী সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অ্যাথলিট যদি এক বছরের সময় সীমার মধ্যে ডোপ টেস্ট দিতে না পারেন বা না দেন, তা হলে তিনি ডোপ বিরোধী নিয়মের আওতায় পড়বেন। হিমাও তাই পড়েছেন।
তবে হিমা কেন ডোপ টেস্ট মিস করেছেন, সেটা এখনও জানা যায়নি। তিনি কোমরের সমস্যায় বেশ কিছু দিন ধরেই ভুগছিলেন। জাতীয় অ্যাথলেটিক্স কোচ রাধাকৃষ্ণণ নাইয়ার বলেছিলেন, গত এপ্রিল থেকে হিমা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটেও ভুগছেন। যে কারণে ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রিতে তিনি নামেননি। রাঁচিতে ফেডারেশন কাপেও নামেননি। আন্তঃরাজ্য মিটেও দেখা যায়নি। হয়তো চোটে জেরবার থাকার কারণে তিনি ডোপ টেস্ট মিস করে গিয়েছেন। তবে যথাযথ প্রমাণ হিমাকে দাখিল করতে হবে।
এখন আর হিমা জাতীয় শিবিরে নেই। একটি সূত্র দাবি করেছে, ‘এক বছরের সময়সীমার মধ্যে হিমা তিনটে ডোপ টেস্ট মিস করেছে । প্রাথমিক ভাবে ওকে নির্বাসন করেছে নাডা।’ গত মাসে রেস ওয়াকার ভাবনা জাটও একই রকম পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন। তাঁকেও প্রাথমিক ভাবে সাসপেন্ড করেছে নাডা। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ৪০০ মিটারে রুপো জিতেছিলেন তিনি। ৪০০ মিটার রিলে এবং ৪০০ মিটার মিক্সড রিলেতে যথাক্রমে সোনা ও রুপো জিতেছিলেন।