Jadavpur Student death: যাদবপুরের মৃত ছাত্রের মায়ের জন্য চাকরি, ভাইয়ের পাশে সরকার, বসবে মূর্তিও

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। এরপর গোটা বাংলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃত ছাত্রের বাবাকে আগেই ফোন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে মৃত ছাত্রের বাবা বরাবরই পুলিশের তদন্তে আস্থা রেখেছেন। সেই পরিবার সোমবার নবান্নে গিয়েছিলেন। মূলত দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তার আর্জি জানান তাঁরা।

এদিকে এদিনও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তে যাতে কোনও গাফিলতি না হয় সেব্যাপারে তিনি নির্দেশ দেন। তবে পুলিশের তদন্তে এদিনও সন্তোষ প্রকাশ করেন মৃত ছাত্রের বাবা। তিনি আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছে তা ঠিকই আছে। তবে আমি আমার ছেলেকে আর ফিরে পাব না। সব সময় ফাঁকা ফাঁকা লাগে।

তবে সরকারের তরফে ওই পরিবারের পাশে থাকার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মৃত ছাত্রের ভাইয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিচ্ছে সরকার। মৃত ছাত্রের মাকে সরকারের তরফে একটি চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ করা হচ্ছে যাদবপুর হস্টেলের ওই মৃত ছাত্রের নামে।তাঁর স্মৃতিতে মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই ছাত্রের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তার সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তবে পরিবারের চোখের জল কিছুতেই শুকোচ্ছে না এখনও। এদিনও নবান্নে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত ছাত্রের বাবা। এক বুক শূন্যতা চেপে বসেছে বুকে। এক লহমায় দিশাহীন হয়ে গিয়েছে জীবনটা। যে ছেলেকে তিনি হস্টেলে দিয়ে এসেছিলেন তাঁরই নিথর দেহ ফিরেছিল বাড়িতে। সব স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে যাদবপুরেই। ইতিমধ্য়েই ১৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে প্রাক্তন ছাত্ররাও রয়েছে। এমনকী যাদবপুরের হস্টেলে যে প্রাক্তনীরা দিনের পর দিন থাকতেন তাদের একাংশও পুলিশের জালে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

তবে এবার মৃত ছাত্রের মায়ের জন্য় বরাদ্দ হল চাকরি। ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল সরকার।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।