Dhupguri By Election: ‘জোট বন্ধু’ বাম কংগ্রেস নিয়ে ধূপগুড়িতে একেবারে চুপ অভিষেক, নিশানায় শুধুই বিজেপি

Advertisement

শুক্রবার ধূপগুড়ি সভা থেকে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীও। সেলিম তো সরাসরি বলেই দিয়েছিলেন তৃণমূল-বিজেপি সেটিং রয়েছে। সেকারণে ভাইপোকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তবে তার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই ধূপগুড়িতে সভা করল তৃণমূল। অনেকেই অপেক্ষা করেছিলেন জোট বৈঠক শেষ করে এসে ঠিক কী বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়?

বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে কতটা আক্রমণ করেন তিনি? কিন্তু একেবারে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন দেখা গেল বাম-কংগ্রেসসে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন না অভিষেক। গোটা ভাষণে শুধুই বিজেপিকে নিশানা। মানে ধূপগুড়িতে আদৌ বাম-কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব রয়েছে কি না সেটাই বোঝা গেল না।

শুক্রবার যখন মুম্বইতে ইন্ডিয়া জোটের মিটিং হচ্ছে তখন সেই জোটের সমণ্বয় কমিটির নেতা অভিষেককে নিশানা করে ধূপগুড়িতে একেবারে জোরালো আক্রমণ করেছিলেন বাম-কংগ্রেস। মুম্বইতে যখন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি সব পাশাপাশি তখনই ধূপগুড়ির মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে ধারালো আক্রমণ করল বাম-কংগ্রেস। তবে জোটের মিটিং করে এসে এদিন যেন একেবারে অন্য অভিষেক। বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণের ধার কাছ দিয়েও গেলেন না তিনি। তবে কি জোটের শর্ত মেনেই এদিন তিনি বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন না? কার্যত সেলিম-অধীরের আক্রমণের জবাব দিলেন না অভিষেক। অনেকেই বলছেন এই ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না।

কিছু দিন আগেই সেলিমকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। তবে এদিন সিপিএমকে আক্রমণ করে কোনও কথা নেই অভিষেকের মুখে। এমনকী কংগ্রেস সম্পর্কেও কোনও কথা তিনি বলেননি। সব মিলিয়ে কিছুটা হলেও হতবাক তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে ধূপগুড়িতে ভোট প্রচারে বেরিয়ে এবার সাধারণ কর্মীরা কী করবেন? এনিয়ে দলের নীচু তলার কর্মীরা যথেষ্ট বিভ্রান্ত।

তবে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আসলে সেটা নয়। তিনি কী বলেছেন, কী বলেননি সেটা জানতে হবে।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।