প্রস্তুতির কোনও সময়ই পাইনি- ইস্টবেঙ্গলকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, ডার্বির আগেই পিঠ বাঁচিয়ে রাখলেন ফেরান্দো – We’re not really having quality training

Advertisement

চার বছর পর ডার্বিতে হার। এখনও হারের ক্ষতটা একেবারে দগদগ করছে। তাতে প্রলেপ পড়েনি। রবিবার ডুরান্ড ফাইনালে বদলা নিয়ে ক্ষততে প্রলেপ লাগানোর জন্য ছটফট করছে জুয়ান ফেরান্দোর মোহনবাগান। ডুরান্ডের ফাইনাল জিতে একদিকে শিরোপা পকেটে পোড়া হবে। অন্যদিকে বদলাও পূরণ হবে। তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবেন জেসন কামিন্সরা।

সেমিফাইনালে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে জিতলেও ইস্টবেঙ্গল মোটেও ভালো খেলতে পারেনি। জয়টা তাদের কাছে ছিল পোড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতোই। আবার মোহনবাগানের বিতর্কিত পেনাল্টি নিয়েও হচ্ছে তীব্র কাটাছেঁড়া। মোদ্দা কথা, সেমিফাইনালে দুই দলের অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়। তাই ফাইনালে দাপটের সঙ্গে খেলে সসম্মানে ম্যাচ জিতে মরশুমের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতে মুখিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান- দুই দলই।

আরও পড়ুন: দলের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, বাড়তি গুরুত্ব মোহনবাগানকে- ডার্বির আগে সতর্ক ইস্টবেঙ্গল কোচ

ফাইনালে ওঠার পর আর্মান্দো সাদিকু কোনও রাখঢাক না করেই বলেছিলেন, তাঁর কাছে রবিবারের ম্যাচ বদলার ডার্বি। যদি জুয়ান ফেরান্দো ডার্বির আবেগে ভাসতে চান না। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘অতীতের কথা ভাবছি না। এটা বর্তমান। প্রত্যিটি ম্যাচই কঠিন। আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে পৌঁছেছি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছি। মাচিন্দ্রা, আবাহনী ম্যাচে আমাদের উপর চাপ ছিল। ফাইনালে আমরা সেরা ফুটবল খেলার চেষ্টা করব।’

তবে ফেরান্দো মুখে যাই বলুন না কেন, ডার্বি হারের চাপটা তিনি ভালো ভাবেই টের পেয়েছেন। তবে এই নিয়ে মুখে কিছু বলতে রাজি নন বাগান কোচ। সে কারণেই সম্ভবত অজুহাতের সুরে তিনি বলে রাখলেন, ‘আমাদের কাছে এটা প্রাক মরশুম প্রস্তুতি। ভাল দলের বিরুদ্ধে জেতায় আমি খুশি। আমাদের লক্ষ্য সেরাটা দেওয়া। ট্রফি জেতা। তবে এত ঘনঘন ম্যাচ হওয়ায় আমরা ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাইনি। পরপর ম্যাচ খেলছি। রিকভারিতে সময় চলে যাচ্ছে। ট্রেনিং না করতে পারলে উন্নতির জায়গা নেই। গত ১০ দিনে আমরা চারটে ম্যাচ খেলেছি। আমি কোনও অজুহাত দিতে চাই না। এই পরিস্থিতিতে খেলা খুব কঠিন।’

আরও পড়ুন: ISL ফাইনালেও বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে জিতেছিল মোহনবাগান, কাদা ছুঁড়লেন এফসি গোয়া কোচ

ফাইনালের আগে মাত্র দু’দিন সময় পাচ্ছে মোহনবাগান। সেখানে ইস্টবেঙ্গল পেয়েছে চার দিন। এটা কি দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে? সরাসরি না বললেও এই নিয়ে ঘুরি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ফেরান্দোষ বললে, ‘আমাদের এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা প্রস্তুতির কোনও সময়ই পাইনি। ভিডিয়ো দেখে ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ারও কোনও সুযোগ নেই। ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ডে একটাও ম্যাচ হারেনি। ওদের কোচ এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবে।’

প্রত্যেক ম্যাচেই গোল হজম করছে মোহনবাগান। আবাহনী এবং গোয়ার বিরুদ্ধে শুরুতে গোল খেয়েও প্রত্যাবর্তন করেছিল তারা। তবে সব ম্যাচে সেটা নাও ঘটতে পারে। যে কারণে দলকে সতর্ক করেছেন ফেরান্দো। বলেছেন, ‘আবাহনী ম্যাচে বিশাল বল ধরে রাখতে পারেনি। মুম্বই ম্যাচে বোঝাপড়ার অভাব ছিল। গোয়ার বিরুদ্ধে মোমেন্টামে গোল হয়েছে। সব গোলই ব্যক্তিগত ভুলে। কিন্তু হাতে সময় পাচ্ছি না, ভিডিয়ো দেখিয়ে ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার সুযোগ নেই।’

রেফারিং নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ মুখ খুললেও, বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন ফেরান্দো। জানিয়ে দিলেন, তাঁর কাজ নিজের দলে ফোকাস করা। এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘রেফারির বিষয়টা আমার হাতে নেই। তাই আমি নিজের দলে ফোকাস করছি। যা আমার হাতে নেই তাতে সময় নষ্ট করতে চাই না। কাল একটা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভালো খেলার সুযোগ আছে। সেরাটা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।’

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।