ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগের সময়সীমা কত বাড়ল?‌ ১০০ দিনের কাজে পদক্ষেপ

Advertisement

সদ্য ২০০ টাকা গ্যাসের দাম কমেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ কাজ করে ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রায় ২ কোটি ৫১ লক্ষেরও কিছু বেশি মানুষজন টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক নেই বহু মানুষের বলে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। তাই আটকে রয়েছে টাকা বলে জানা যাচ্ছে। তবে এবার ব্যাঙ্ক আকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্কের সময়সীমা বাড়িয়ে দিল মোদী সরকার। যদিও বাংলার মানুষজন এই কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা সরব হয়েছেন।

কত দিন বাড়ানো হল?‌ একশো দিনের কাজ করে টাকা না পাওয়ার আবহের মধ্যেই ৩১ অগস্টের মধ্যে প্রত্যেক সক্রিয় কর্মপ্রার্থীকে এই লিঙ্ক করতে হবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তারপর মেয়াদ বাড়িয়ে ঢোঁকও গিলতে হল। আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেমে কাজের টাকা পেতে লিঙ্ক করার সময়সীমা বেড়ে হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। সুতরাং এই বছরের মধ্যে তা করে নিলেই মিলবে টাকা। বাংলার ক্ষেত্রে তা হবে কিনা জানা যায়নি। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে কবর, সক্রিয় একশো দিনের কর্মীদের মধ্যে এখনও ১৭.৬ শতাংশের আধার লিঙ্ক হয়নি। তাই টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সম্ভব আধার লিঙ্কের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।

কেন মেয়াদ বাড়ানো হল?‌ সামনেই কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার উপর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এই মেয়াদ বাড়ানো হল। কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে লিখিত প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে, একশো দিনের কাজ বাবদ মানুষদের প্রাপ্য বকেয়া ৬ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। বিজেপির ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের একাধিক রাজ্যই এই লিঙ্কের কাজে পিছিয়ে। অসম ও অরুণাচল প্রদেশের হাল খুব খারাপ। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, গোয়ার মতো রাজ্যও লিঙ্কের কাজে পিছিয়ে রয়েছে। তাই সময়সীমা বাড়ানো হল। আসলে পুরো বিষয়টিই রাজনীতি করে করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন:‌ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা গেল না অনন্ত মহারাজকে, শুরু জোর চর্চা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ যদি গোটা দেশে ধরা হয় তাহলে ১০০ দিনের কাজের মোট কর্মীর সংখ্যা ২৬ কোটি। জব কার্ড আছে এমন মানুষ ১৪ কোটি ৩৪ লক্ষ। আবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক থাকলেও এখন ২ কোটি ৫১ লক্ষ মানুষের আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেম করা হয়নি। তাই ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারে টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে। যদিও অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে ৮১.৩ শতাংশ। তারপরও বাংলার মানুষজন টাকা পাচ্ছেন না ১০০ দিনের কাজ করে।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।