সীমা হায়দার ও সচিন মিনা। গোটা দেশ জেনে গিয়েছে তাদের কাহিনি। প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছেন চার সন্তানের মা সীমা। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে ততই সীমার সম্পর্কে নতুন নানা তথ্য সামনে আসছে।
উত্তরপ্রদেশ এটিএস জেরা করেছে সীমা আর সচিনকে। সেখানে সীমা স্বীকার করে নেন, তার এক ভাই পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে রয়েছে। কিন্তু এখনও সে পাক সেনাতে রয়েছে কি না তা জানা নেই।
এদিকে ইন্ডিয়া টুডে সীমার প্রথম পক্ষের স্বামী গুলাম হায়দারের সঙ্গে কথা বলেছিল। গুলাম দাবি করেছে, সীমার ভাই আসিফ ও তার কাকা গুলাম আকবর পাক সেনাতে রয়েছে। আসিফ করাচিতে রয়েছে। তার সঙ্গে কথাও হয়েছিল তার।
গুলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সীমার কাকা ইসলামাবাদে সেনার উঁচু পদে রয়েছে।
এদিকে গোটা বিষয়কে হালকা ভাবে দেখছে না UP-ATS। তারা বার বার কথা বলেছে সীমার সঙ্গে। তার সঙ্গে পাক যে পরিচয়পত্র রয়েছে তা নিয়ে সংশয় দানা বেধেছে। জন্মের পরে যে আই কার্ড পাওয়ার কথা সেটার ইস্যুর তারিখ দেখাচ্ছে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। আইএসআইয়ের সঙ্গে তার কোনও যোগ রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
ভিসা ছাড়া তিনি কীভাবে ভারতে এলেন তা নিয়েও বড় প্রশ্ন। তিনি এই চোরাপথ জানলেন কীভাবে? শুধুই কি প্রেম নাকি চরবৃত্তির জন্য তিনি ভারতে এসেছেন তা খতিয়ে দেখছে এটিএস।
সূত্রের খবর, চার সন্তানকে নিয়ে বাসে চেপে নেপাল হয়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা। পাবজি খেলতে গিয়ে তার সঙ্গে সচিনের আলাপ। এরপর বিয়ের সিদ্ধান্ত। সেই টানেই নাকি ভারতে। কিন্তু সন্দেহ যাচ্ছে না পুলিশের। ৪ জুলাই সীমা আর সচিনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তারা মুক্তি পান। এদিকে সীমার দাবি তিনি এখন হিন্দু হয়ে গিয়েছেন। নিরামিষ খাচ্ছেন। তবে পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে গোটা ঘটনা।