অ্যাশেজের প্রথম সিরিজেই অজিদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে আক্রমণাত্মক খেলার বিরুদ্ধে ধরে খেলার নীতি গ্রহণ করেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারা। ইংল্যান্ড প্রথম ব্যাট করার পরে প্রথম দিনেই ইনিংস ছেড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়ার জন্য। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন তারকা ওপেনার উসমান খোয়াজা। ৩২১ বল খেলে করেন ১৪১ রান। তাকে আউট করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় ইংল্যান্ডের জোরে বোলারদের।
অন্যদিকে উইকেট পড়তে শুরু করলেও নিজে একা কুম্ভের মতো লড়াই করে যান পাকিস্তান বংশভূত এই ক্রিকেটার। শেষে ইংল্যান্ড অধিনায়কের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। উসমানের সামনে ছাতার মতো ফিল্ডিং সাজিয়ে তাকে ইয়র্কার বলে আউট করে দেন জোরে বোলার অলি রবিনসন। খোয়াজাকে আউট করার পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন অলি। উসমানের উদ্দেশ্যে কিছু আপত্তিজনক মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে রবিনসন সম্প্রতি জানিয়েছেন, সেই সময় আলাদা উত্তেজনা ছিল। নিজের খেয়েই হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৩৯৩ রান মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করে অস্ট্রেলিয়া। তবে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান অজি বাহিনীর আরও এক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তারপর থেকে লড়াই শুরু উসমানের। দীর্ঘ ইনিংসে মারেন ১৪টি চার ও তিনটি ছয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে ইংল্যান্ডের। তবে শেষ পর্যন্ত অবাক করা ফিল্ডিং সাজান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন এবং বোলার অলি। খোয়াজার সামনে চক্রব্যূহ রচনা করে স্লোয়ার এবং ইয়র্কার বল করেন। সেই ইয়র্কার বল খেলতে গিয়েই বোল্ড হয়ে যান অস্ট্রেলিয়া তারকা ক্রিকেটার। তারপরেই উত্তেজনায় চিৎকার করতে থাকেন ইংল্যান্ডের বোলার অলি। সম্ভবত তাকে কিছু কটু শব্দ বলতেও শোনা যায়।
সম্প্রীতি এই বিষয়ে রবিনসনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ওটা একটা বড় মুহূর্ত ছিল। আমার মাথায় ছিলনা আমি কোথায় আছি। হাজার ক্যামেরা আমার দিকে তাক করা ছিল। সবাই আমাকে দেখছিল। যখন আমি উইকেট পাই তখন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে আচরণ করি না। আমি উসির সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের মধ্যে সব ভালই আছে। উসমানের সঙ্গে কথা বলার সময় ও বলে তুমি যা বলছ তার নিয়ে সাবধান হও। আমাদের মধ্যে ভালো কথাবার্তা হয়েছে। উসমান একজন ব্যক্তি হিসেবে অসাধারন। আমি ওর বিরুদ্ধে যে কটা ম্যাচ খেলেছি সেখানে ব্যবহার ভালই করেছি।’