হঠাৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন ফতেমার বাবা, বন্ধ হয় রিকশা চালানো। উপার্জনের পথ বন্ধ হতেই বন্ধ হল ফতেমার লেখাপড়া। ফতেমা ভাবত পড়াশোনা করে সরকারি চাকরি পেয়ে একসময় বাবার সমস্ত কষ্ট দূর করবে কিন্তু এখন তো সংসার চলাই মুশকিল। ঘটনাক্রমে ফতেমার বাবা মারাও গেলেন, আর মাকে তো সে কবেই হারিয়েছে। কঠিন সময় ফতেমার পাশে দাঁড়ালেন পুরোহিত সাধন ঠাকুর। এমনই এক গল্প নিয়ে আসছে পরিচালক আতিউল ইসলামের ছবি ‘ফতেমা’।
ছবিতে এই সাধন পুরোহিতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ফতেমার ভূমিকায় দেখা যাবে নবাগতা মুন। সম্প্রতি ছবির বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন রাহুল রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই হিন্দু দাদা মুসলিম বোনের গল্পটা ঠিক কেমন?
রাহুল: ছবির গল্পে দেখা যায়, পুরোহিত সাধন ঠাকুর বাড়িতে ঘর মোছা , বাসন মাজা, রান্না করা, এমনকি পুজোর ভোগ তৈরিরও দায়িত্ব পান ফতেমা। যেখানে সাধন ঠাকুর হলাম আমি, আর ফতেমা হলেন মুন। গল্পে দেখা যাবে সাধন পুরোহিত ও ফতেমা একে অপরকে ভাইবোনের মতোই ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন, এই পরিস্থিতিতে বাধ সাজে সমাজ। একঘরে করা হয় তাঁদের। কিন্তু এরপর কোন পথে এগোবে এই হিন্দু দাদা, মুসলিম বোনের জীবন? তারই উত্তর দেবে এই বাংলা ছবি।
‘ফতেমা’য় রাহুল ও মুন
সত্যি ঘটনা অবলম্বনেই ছবি তৈরি হচ্ছে বলে শুনেছি…
রাহুল: এই ঘটনাটাই ঘটেছে কিনা এটা আমি বলতে পারব না, তবে এধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে প্রায়ই দেখা যায়।
ছবির পরিচালক আতিউল ইসলাম নবাগত, গল্পের জন্যই কি ওঁর সঙ্গে কাজ করলেন?
রাহুল: হ্যাঁ, গল্পটা শুনেই আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল।
বর্তমান রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবেশে, এই গল্পটা কতটা প্রসঙ্গিক?
রাহুল: ভীষণই প্রাসঙ্গিক। আজকাল যেভাবে মানুষের মনে ভেদাভেদ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই গল্প ভীষণই প্রাসঙ্গিক। এধরনের ছবি এখন আরও বেশি করে হওয়া উচিত বলে মনে হয়।
‘ফতেমা’য় রাহুল ও মুন
দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে বিতর্ক, নিষিদ্ধ ঘোষণা এসব নিয়ে কী বলবেন?
রাহুল: গল্পের বিষয়বস্তু এক্কেবারেই সঠিক নয়। তবে কোনও ছবিকে নিষিদ্ধ করাকেও আমি সমর্থন করি না।
আপনার পরিচালনায় ‘কলকাতা-৯৬’-এর কী খবর?
রাহুল: ওটা একটু গণ্ডোগোল হয়ে রয়েছে, দেখা যাক…।
ব্যক্তিগত জীবনেও পরিবর্তন, আপনি প্রিয়াঙ্কা, সহজ এখন একসঙ্গে, কেমন কাটছে?
রাহুল: দারুণ, এখনই সবথেকে ভালো আছি বলে মনে হয়। (হাসি)