লরির ভিতর থেকে তিন কোটির সোনার বিস্কুট উদ্ধার, বিএসএফের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত

Advertisement

ইদানিংকালে সীমান্ত পেরিয়ে সোনার বিস্কুট পাচারের রমরমা বেড়েছে। বারবার এই ছক ধরা পড়ে গেলেও প্রচেষ্টা কমছে না। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাকে ভায়া করে সোনার বিস্কুট পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকী কলকাতার বড়বাজারে তা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল গোটা গ্যাং। কিন্তু তারপরও থামল না গোপনে সোনার বিস্কুট পাচার। এই পাচার বেশ বড় অঙ্কের। আগে তা হয়েছিল। এবারও তা হল। পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে আবার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল বিএসএফ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এত সোনার বিস্কুট আসছে কোথা থেকে?‌ উঠছে প্রশ্ন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ রাতের অন্ধকারে সোনার বিস্কুট পাচারের ছক কষা হয়েছিল। সেই মতো লরিতে করে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে সোনার বিস্কুট মুড়িয়ে পাচার করা হচ্ছিল। তখনই বিএসএফের তৎপরতায় গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আর লরির ভিতর থেকে এবার তাঁরা বাজেয়াপ্ত করল প্রায় ৩ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট। এই বিপুল অঙ্কের টাকার সোনার বিস্কুট মেলায় গ্রেফতার করা হয়েছে লরিচালককে। বিএসএফ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তির নাম প্রদীপ রায়চৌধুরী। এই ব্যক্তির বনগাঁর মতিগঞ্জের তালিখোলায় বাড়ি। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে।

কেমন করে গ্রেফতার করা হল?‌ বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের কাছে গোপন সূত্রে একটি খবর আসে। সেই খবরে বলা হয়, একজন লরি চালক পণ্য খালাস করে খালি লরি নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ফিরছে। ওই লরিতে কিছু জিনিসের সঙ্গে সোনার বিস্কুট মুড়িয়ে রাখা রয়েছে। তারপর থেকেই একটি দল গঠন করে সীমান্তে তল্লাশি শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানরা। তারপরই রাতে পেট্রাপোলে একটি খালি লরি দেখে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। আর কেবিনের সাউন্ড সিস্টেমের পিছনে কাপড় মোড়া অবস্থায় ৩৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৪ কেজি ৭৯৭ গ্রাম। যার এখনকার বাজারদর প্রায় ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ১০ হাজার ৭৫৮ টাকা। তাতেই চোখ কপালে ওঠে জওয়ানদের।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই বিপুল অঙ্কের টাকার সোনার বিস্কুট সে কোথা থেকে পেয়েছে তা নিয়ে জেরা চলছে। আজ, শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, মোটা টাকা কমিশনের লোভে এই কাজ করছিল ওই লরি চালক। বাংলাদেশের একটি চক্র তাকে দিয়ে এই কাজ করাতে চাইছিল। কার কাছে পৌঁছে দিতে হবে এই সোনার বিস্কুটগুলি সেটা লরি চালক জানত। ফাঁকা লরি দেখে বিএসএফের সন্দেহ হবে না এবং সোনার বিস্কুট পাচার করা যাবে এই ছকে গোটা পরিকল্পনাটি করা হয়েছিল। এই সোনার বিস্কুটগুলি মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছিল। আর তা লরি চালকের মাধ্যমে এই রাজ্যে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল। এদিন পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে সোনার বিস্কুট–সহ এক বাংলাদেশি যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সোনার বিস্কুটের ওজন ১১৬ গ্রাম। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লক্ষ ১২ হাজার ৬৭০ টাকা। কলকাতার বড়বাজারে এক ব্যক্তির কাছে এই সোনা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।