‘‌হাত–পা গুঁড়ো করে দিতে হবে’‌, দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়ে বিতর্কে আরাবুল ইসলাম

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার বিতর্কে জড়ালেন আরাবুল ইসলাম। এবার নাম না করে আইএসএফ কর্মীদের হাত–পা গুঁড়ো করে দেওয়ার নিদান দিলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। ইদানিং ভাঙড়ে আইএসএফের সঙ্গে সমস্যা চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সভা থেকে মিছিল—সর্ব বিষয় নিয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হাত–পা গুঁড়ো করে দেওয়ার নিদান–সহ বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের শাস্তি না হলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় আইএসএফ জড়িত বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতার করা না হলে থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দেওয়ায় আলোড়ন পড়ে যায় এলাকায়। এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কেউ খারাপ ভাষা প্রয়োগ করলে ‘মেরে হাত–পা গুঁড়িয়ে দেওয়ার’ নিদানও দিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার ভাঙড়ের কাশিপুর থানার গানিরাইট গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাতে জখম হন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সরিফুল মোল্লার স্ত্রী রোশনারা বিবি। তখন আইএসএফ অভিযোগ করেছিল, সরিফুল মোল্লা নিজের বাড়িতে বোমা মজুত করেছিলেন। সেই বোমা ফেটে গুরুতর জখম হন রোশনারা বিবি। পাল্টা সরিফুল মোল্লা দাবি করেন, আইএসএফ তাঁর বাড়ির লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। তাতেই জখম হন তাঁর স্ত্রী।

ঠিক কী বলেছেন আরাবুল?‌ এই ঘটনা নিয়ে এখনও জেলার রাজনীতি উত্তাল। তার মধ্যে কয়েকদিন আগে সভা করা নিয়ে দু’‌দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আইএসএফ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কড়া ভাষা ব্যবহার করে আক্রমণ করছে। এই আবহ নিয়ে বৃহস্পতিবার গানেরআইট এলাকায় ধিক্কার মিছিল এবং প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন আরাবুল। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‌যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে। আর তা না হলে আগামী দিনে থানা ঘেরাও করা হবে।’‌ সরিফুল মোল্লা ইতিমধ্যেই ১৬ জন আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ দায়ের করেন।

আর কী বার্তা দিয়েছেন আরাবুল?‌ একটা সময় এই আরাবুল ইসলামকে দলের তাজা নেতা বলা হয়েছিল। সেই আরাবুল প্রতিবাদ সভা থেকে বার্তা দেন, ‘‌দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলছি, তৃণমূলের নামে যাঁরা খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন, তাঁদের গ্রামের ভিতর থেকে ধরে আনতে হবে। ধরে এনে বেঁধে হাত–পা গুঁড়ো করে দিতে হবে।’‌ এই মন্তব্য নিয়ে এখন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। পাল্টা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‌যাদের বাড়িতে বোমা মজুত করা ছিল, পুলিশ কেন তদন্ত করে তাঁদেরকে গ্রেফতার করছে না? আমি চাই প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। যদি কোনও কারণে নিরাপরাধ কোনও মানুষকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় তাহলে আমি আদালতে যাব।’‌

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।