Jibankrishna Saha: জামাইষষ্ঠীর প্রসাদ নিয়ে আদালতে জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী, ছুঁতে দিলেন না কারারক্ষীরা

Advertisement

কয়েক মাসে জীবন বদলে গিয়েছে আমূল। যে বাড়িতে এক সময় বইত বৈভব আর উজ্জাপনের স্রোত সেখানে এখন নিঃস্তব্ধতা। জেলে জামাই জীবনকৃষ্ণ। চাকরি চুরির অভিযোগে ধরা পড়েছেন তো কী হয়েছে? বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে জামাইষষ্ঠীর প্রসাদ খাওয়াতে বৃহস্পতিবার আদালতে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁকে সেই প্রসাদ খেতে দেননি কারারক্ষীরা।

প্রতি বছর ধুমধাম করে রঘুনাথগঞ্জের জোতকমলে শ্বশুরবাড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন করতেন জীবনকৃষ্ণ। বিধায়ক হওয়ার পর থেকে দুর্নীতির টাকায় যত ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন জীবনকৃষ্ণ ততই বেড়েছে তাঁর স্ত্রী টগরীর গয়নার ভার। সুখের সংসারে ছেদ পড়ে গত ১৭ এপ্রিল। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা টানা তল্লাশির পর জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে আন্দির বাড়ি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

তার পর থেকে জীবনকৃষ্ণের জেল জীবন দেড় মাস ছুঁতে চলল। এরই মধ্যে এসে পড়েছে আরেক জামাই ষষ্ঠী। আর সেদিনই চাকরি বিক্রিতে অভিযুক্ত বিধায়ককে আদালতে পেশ করে সিবিআই। এদিন আদালতে ষষ্ঠীপুজোর প্রসাদ, লুচি – তরকারি ও গোটা ফল। আলিপুর জেলের লক আপে থাকাকালীন সেই সব জিনিস জীবনকৃষ্ণকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্ত্রী টগরী। কিন্তু কারারক্ষীরা অনুমতি দেননি। জেলের বিধি অনুসারে কোনও বন্দিকে আদালতের অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে আনা খাবার খেতে দেওয়া যায় না। ফলে অনেক চেষ্টাতেও ব্যর্থ হন তিনি।

এদিন শুনানির পর জীবনকৃষ্ণ ও সুবীরেশ ভটচাজের জেল হেফাজতের মেয়াদ ১ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।