গৌতম গম্ভীরকে ছেড়ে দেওয়ার পরে কলকাতা নাইট রাইডার্সে শেষ ২ বছর নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হতো রবিন উথাপ্পার। সোশ্যাল মিডিয়া এমনটা স্পষ্ট জানালেন প্রাক্তন নাইট তারকা। সেই সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, অনুরাগীদের নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। নেতৃত্বের প্রসঙ্গও এক্ষেত্রে অমূলক। সুতরাং, নাইট ম্যানেজমেন্টের উদাসীনতাই যে দীর্ঘদিনের নাইট তারকার মনে ধাক্কা দিয়েছিল, সেটা বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট।
রবীন উথাপ্পা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস, পুণে ওয়ারিয়র্স, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে মাঠে নামেন। তবে তিনি সব থেকে বেশিদিন আইপিএল খেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দীর্ঘ ৬টি মরশুম কাটান নাইট শিবিরে।
২০১৪ সালে আইপিএল জয়ী কেকেআর দলের সদস্য ছিলেন উথাপ্পা। সেবছর নাইটদের ট্রফি জয়ে ব্য়াট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৪ সালে তিনি ৬৬০ রান সংগ্রহ করেন। আইপিএলে সেটিই ছিল তাঁর সেরা মরশুম। কেকেআর ছেড়ে দেওয়ার পরে ২০২০ সালে উথাপ্পাকে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ২০২১ ও ২০২২ সালে তিনি চেন্নাইয়ের হয়ে মাঠে নেমে আইপিএল কেরিয়ারে দাঁড়ি টানেন।
মাত্র ২টি মরশুম সিএসকের হয়ে মাঠে নেমেই চেন্নাইয়ের হয়ে উথাপ্পার আনুগত্য দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাইট সমর্থকরা আক্রমণ করেন রবিনকে। উথাপ্পা তাঁর জবাবে দেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। তিনি ইঙ্গিতবহ ভাষায় বুঝিয়ে দেন যে, সম্মান দিলে সম্মান ফিরে পাওয়া যায়। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে, নাইট শিবিরে তিনি যোগ্য সম্মান পাননি।
তার রেশ ধরেই বুধবার উথাপ্পা আরো স্পষ্ট ভাষায় কেকেআরকে নিয়ে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি জানান যে, গম্ভীরের নেতৃত্বে কেকেআরে প্রথম চার বছর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। তবে গম্ভীর চলে যাওয়ার পরে শেষ ২ বছর তিনি গুরুত্ব পাননি নাইট শিবিরে।
একটি টুইটে উথাপ্পা লেখেন, ‘গত রাত থেকে অনেক কথা বলা হচ্ছে। আপনাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ। যাইহোক, আমি বরাবর বলেছি যে, গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে কেকেআরে আমার প্রথম ৪ বছরের থেকে শেষ ২ বছর ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেটা আমার পারফর্ম্যান্সে বড়সড় প্রভাব ফেলে। এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, নেতৃত্বের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’
পরে আরও একটি টুইটে উথাপ্পা লেখেন, ‘গম্ভীরকে ছেড়ে দেওয়ার পরে সবকিছু বদলে যায় এবং নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। যাইহোক, কেকেআরের অনুরাগীদের জন্য আমার ভালোবাসা বরাবর একই ছিল এবং চিরকাল একইরকম থাকবে। ওদের সমর্থনের জন্য চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব এবং এটাই এখানে স্পষ্ট করতে। কেকেআরের অনুরাগীদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাদের জন্য বরাবর ভালোবাসা ও সম্মান বজায় থাকবে।’