অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে এবার সরব হলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মত দক্ষ সিবিআই-ইডি অফিসারদের কাজে লাগানো উচিত দেশের স্বার্থে। মহুল চোক্সি, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীর টাকা উদ্ধার করার কাজে। তা না করে রাজনৈতিক উদ্দেশে দেশের দক্ষ অফিসারদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
শনিবার, ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সেরে বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাড়ে ন’ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস হল শূন্য। তাঁদেরও সময় নষ্ট আমারও সময় নষ্ট। নির্যাস হল অশ্বডিম্ব। প্রথমদিন থেকে ইডি-সিবিআইয়ের টার্গেট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তাঁর কটাক্ষ ছিল, ইডি-সিবিআইকে চালনা করেছে বিজেপি। রবিবার সেই সুরই শোনা গলে ফিরহাদ হাকিমের গলায়।
পুরমন্ত্রী তথা মেয়রের বক্তব্য,’এজেন্সির অফিসাররাও বুঝতে পারছেন যে, মিস ইউস অব এজেন্সি হচ্ছে। ওনারা আমাদের দেশের দক্ষ অফিসার। ওঁদের সকলকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য কাজে না লাগিয়ে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানো উচিত।’ কী কাজ করা উচিত ইডি-সিবিআইয়ের তাও স্পষ্ট করে দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘ রবীন্দ্রনাথের নোবেল কোথায় গেল তা ওঁনাদের খোঁজা উচিত। মাওবাদীরা কোথায় রয়েছে, কী কাজ করছে, তা তদন্ত করে বার করা উচিত। দেশের টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া, মহুল চোক্সিরা তা ইডির খুঁজে বার করা উচিত। তা না করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ইডি-সিবিআিকে।’
পুরমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে গিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের অপমান করা হচ্ছে।’ এমন কী তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ বলেছেন বলে দাবি করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘ কেউ কেউ আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বলেছেন, এটা আমাদের কাজ নয় স্যার, কিন্তু কা করব, চাকরি করতে এসেছি।’
শনিবার রাতে জেরা থেকে বেরোনোর পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলে, ‘লাগল কেমন ৯ ঘণ্টা? ভাইপো? আমার ভাইকে ১০ ঘণ্টা করে ৪ বার ডেকেছে। লোকের ক্ষতি করলে নিজের ক্ষতি হয়। দেখ কেমন লাগে ভাইপো’।
তবে বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফিরহাদ কিছু বলতে চাননি।