এলেন, দেখলেন, জয় করলেন বলা যায়। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই মাইকেল ব্রেসওয়েল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শিবিরে যে ধাক্কা দেন, সেটা আরসিবিকে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস এনে দেয় উপ্পলে।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ফিট থাকলে আরসিবির হয়ে মাঠে নামা হতো না মাইকেল ব্রেসওয়েলের। সিংহলি তারকার চোটেই ফের শিকে ছেঁড়ে কিউয়ি স্পিনার অল-রাউন্ডারের ভাগ্যে। সেই সুযোগটা তিনি কাজে লাগান যথাযথভাবে।
আইপিএলের একেবারের শুরুর দিকে মুম্বই ও কেকেআরের বিরুদ্ধে ২টি ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ২টি উইকেট নেন ব্রেসওয়েল। প্রায় দেড় মাস রিজার্ভ বেঞ্চে কাটানোর পরে জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পুনরায় আরসিবির প্রথম একাদশে সুযোগ পান ব্রেসওয়েল। সেই ম্য়াচে ৩ ওভার বল করে ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন তিনি।
এবার হায়দরাবাদে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ওভারেই প্রতিপক্ষ দলের দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান ব্রেসওয়েল। উপ্পলে টস জিতে হায়দরাবাদকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় আরসিবি। ম্য়াচের শুরুতেই ২ ওভার করে বল করেন ব্যাঙ্গালোরের দুই পেসার মহম্মদ সিরাজ ও ওয়েন পার্নেল। ৪ ওভার শেষে হায়দরাবাদের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২৭ রান।
আরও পড়ুন:- LSG Squad Update: কেকেআরকে চমকে দিতে কৌশলী চাল LSG-র, উনাদকাটের বদলে অনকোরা ক্রিকেটারকে দলে নিল লখনউ
পঞ্চম ওভারে প্রথমবার স্পিন আক্রমণ শানায় আরসিবি। ফ্যাফ ডু’প্লেসি বল তুলে দেন ব্রেসওয়েলের হাতে। প্রথম বলেই তিনি তুলে নেন অভিষেক শর্মার উইকেট। ৪.১ ওভারে মহীপাল লোমরোরের হাতে ধরা পড়েন অভিষেক। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ওভারের তৃতীয় বলে ব্রেসওয়েল আউট করেন রাহুল ত্রিপাঠীকে। রাহুল বড় শট খেলার চেষ্টায় হার্ষাল প্যাটেলের হাতে ধরা পড়েন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ১৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। সানরাইজার্স দলগত ২৮ রানের মাথায় দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে।
আরও পড়ুন:- কেন ১৮ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন, কোহলি নিজেই ফাঁস করলেন সেই রহস্য, অবাক হবেন অভাবনীয় সংযোগের কথা জেনে
নিজের প্রথম ওভারে ৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ব্রেসওয়েল। ইনিংসের সপ্তম ওভারে দ্বিতীয়বার বল করতে আসেন তিনি। সেই ওভারে ৭ রান খরচ করেন ব্রেসওয়েল। সুতরাং নিজের প্রথম স্পেলে ২ ওভার বল করে ১৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মাইকেল। অবাক করার বিষয় হল, এনরিখ ক্লাসেন যখন ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান, মাঝের ওভারে তাঁকে থামাতে ব্রেসওয়েলকে আর ব্যবহার করেনি আরসিবি।
শুধু মাঝের ওভারেই নয়, বরং বাকি ম্যাচে ব্রেসওয়েলকে আর বল করায়নি আরসিবি। বাকিরা মার খাচ্ছেন দেখেও ব্রেসওয়েলের বোলিং কোটা শেষ করানোর প্রয়োজন বোধ করেনি ব্য়াঙ্গালোর।