ENG vs IRE: কিছু ব্যথা-যন্ত্রণা সারাজীবন থেকে যায়, চোট কাটিয়ে উঠেও মন খারাপ বেয়ারস্টোর

Advertisement

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের আক্রমণাত্মক ব্যাটার জনি বেয়াস্টো। বহু ম্যাচ একার কাঁধে জিতিয়েছেন তিনি। তবে গত বছর আগস্ট মাসে গলফ খেলতে গিয়ে পায়ে মারাত্মক ভাবে চোখ পান তিনি। তারপর থেকে ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তিনি নিজেও ভাবতে শুরু করেন, ফের হাঁটতে পারবেন কিনা। তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে পরের মাসে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

জনি যখন তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের সেরা ফর্মে, যেকোনও বোলারের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। ঠিক সেই সময় দুর্ভাগ্যবশত পায়ে চোট পান তিনি। অনেকেই ভাবতে শুরু করেন জনির পক্ষে ক্রিকেট খেলা আর সম্ভব হবে না। এই খেলতে না পারার ভাবনা তাঁর নিজের মাথাতেও আসে। সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে একটি সাক্ষাৎকারে জনি বেয়ারস্টো বলেন, ‘যখন তুমি ভাবতে থাকবে ফের হাঁটতে পারবে কিনা বা ফের জগিং বা দৌড়াতে পারবে কিনা এমনকী ক্রিকেট খেলতে পারবে কিনা, তখন এই বিষয়গুলো মাথার মধ্যে সব সময় চলতে থাকে। তবে এটা নির্ভর করছে তুমি কতক্ষণ এই বিষয়গুলি উপর চিন্তাভাবনা করছ। ক্রিকেটে ফিরে আসার আগে এই রকম অনেকগুলি বিষয় ঘুরতে থাকে মাথায়।’

চোট থেকে বেয়ারস্টো হয়তো কখনোই ১০০ শতাংশ সেরে উঠতে পারবেন না। কিন্তু বেয়ারস্টো চোটকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা খুব হাস্যকর যে লোকেরা বলছে আমি অবহেলা করছি। সত্যি বলতে আমি এমন কাউকে চিনি না যে বা যারা মারাত্মক ভাবে পায়ে আঘাত পেয়ে আগের মতোই হাঁটতে পারছে।‌ কিছু কিছু ব্যথা যন্ত্রণা এর সঙ্গে থেকে যাবে। এটা চোটের অংশ। ‌ফলে হাঁটু, গোড়ালি, পিঠের নিচের অংশ যে কোনও জায়গায় ব্যাথা হতে পারে। যখন ট্রমা থাকে, তখন শরীরের নড়াচড়া বা শরীর যেভাবে চলতে চায় তাতে একটা সমস্যা হয় । গত বছর চোট পাওয়ার আগে আমি যেভাবে দৌড়াতে পারতাম সেই ভাবে হয়তো পারছিনা তবে আমি ফিট আছি।’

তিনি মনে করেন যে উইকেট কিপার হিসাবে মাঠে নামতে তাঁর কোনও সমস্যা হবে না। জনি জানান, ‘আমি মনে করি না যে ফিল্ডিং করতে গেলে খুব সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তবে বাউন্ডারির দিকে গতিতে দৌড়ে যাবার সম্ভব হবে না। খেলতে নেমে কিছুটা সমস্যা হবে তবে এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।’

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।