এগরার ভানুর মৃত্যুতে কার লাভ কার ক্ষতি, খতিয়ান দিল বিরোধী ও শাসকদল

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর মৃত্যুতে কার লাভ কার ক্ষতি তার ক্ষতিয়ান পেশ করল শাসক ও বিরোধী দল। বিরোধী দলবনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ভানুর মৃত্যুতে ক্ষতি হয়ে গেল তৃণমূলের। তাঁর মতে এই মৃত্যুর জন্য তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা উচিত। অন্য দিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের মন্তব্য, ভানুর মত্যুতে সুবিধা হল বিরোধী দলনেতা ও তাঁর ‘সাঙ্গপাঙ্গ’দের।

শুক্রবার কটকের হাসপাতালে মারা যায় এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ। মৃত্যুর আগে তাঁকে সিআইডি গ্রেফতার করলেও জীবিত অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় আনা গেল না। এই মৃত্যু প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জে যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু এই ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি সমবেদনা জানাব। তাঁর এক অমূল্য সম্পদ চলে গেলেন। এর ফলে তৃণমূলের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে পূরণ করবেন, তা ভবিষ্যতই বলবে। তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত ছিল শোকবার্তা দেওয়া।’

এর আগে টুইটে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, পুলিশকে টাকা দিয়েই এলাকায় বেআইনি বাজির কারখানা চালাত ভানু। বিরোধীদের দাবি, এলাকায় সে তৃণমূল বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন,’যদি তৃণমূলেরই লোক হবে, তবে কালীপুজোর সময় তাকে কেন বেআইনি বাজি তৈরির জন্য গ্রেফতার করা হবে?’ তিনি বলেন, যে এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে সেই এলাকার পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে।

তবে বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,’আমাদের আফসোস, ভানু মারা যাওয়ায় শুভেন্দু ও তাঁর কিছু সাঙ্গপাঙ্গ বেঁচে গেল। ভানু বেঁচে থাকলে তাঁর বয়ানে ওঁদের নামই বেরোত।’ ভানুর রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গেও কুণাল বলেন,’ভানু অতীতে বাম শিবিরে ছিল। পরবর্তী কালে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের কাছাকাছি এসে তাদের সৌজন্যে তৃণমূলে যোগ দেয়। পরে আবার তাদেরই অনুগামী হয়ে বিজেপিতে চলে যায়। অধিকারি প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মচারী ছিল ভানু।’

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।